‘সোহাগ ভাইয়া আমাকে হাতে ধরিয়ে নাচ শিখিয়েছেন’

নাচের মানুষ ইভান শাহরিয়ার সোহাগ। দেশের নামকরা কোরিওগ্রাফার তিনি। মাত্র চার বছর থেকেই নাচের সঙ্গে যোগসাজশ সোহাগের। নাচকে লালন করে আজও তিনি পথ চলছেন। ‘ভূমি’ নামে একটি নাচের দল রয়েছে তার। জানুয়ারির প্রথম দিনেই ছিল সোহাগের জন্মদিন। এ উপলক্ষে সম্প্রতা তিনি এসেছিলেন চ্যানেল আই তারকা কথন অনুষ্ঠানে।

সোহাগ একা আসেননি, তার সঙ্গে ছিলেন লাক্সতারকা মেহজাবিন চৌধুরী। অভিনয়ের মেয়ে মেহজাবিন এখন ভালো নাচও করেন। সেই সুবাদে ২০১৩ সালে পরিচয় হয় ইভানের সঙ্গে। এরপর তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে দারুণ বন্ধুত্ব। এই দুই তারকা আলাপে জানিয়েছেন তাদের বন্ধুত্বের গল্প।

সোহাগ বলেন, ২০১৩ সালে মেহজাবিনের সঙ্গে আমার পরিচয়। তখন সে ভালো নাচতে জানত না। আমি তাকে নাচের ছন্দ-তাল শিখিয়েছি। এখন সে খুব ভালো করছে। ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০’র বেশি অনুষ্ঠানে একসঙ্গে আমরা নেচেছি। আমার কোরিওগ্রাফিতে সে একাও মঞ্চ মাতিয়েছে। বাংলাদেশের বড় বড় কনসার্ট, বিদেশি শিল্পীদের আগমনে যেসব অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে আমি ও মেহজাবিন পারফর্ম করেছি।

ইভান বলেন, ফিউশন, মডার্ন, কনটেম্পোরারি, ফোক ছাড়াও দেশীয় সব জনপ্রিয় গানে আমরা নেচেছি। অনেক তারকার সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু মেহজাবিনের সঙ্গে আমার বন্ডিং ভালো। আমাদের জুটির নাচ বেশি জনপ্রিয়। আগামীতে আরো কিছু অনুষ্ঠানে নাচবো আমরা।

এসময় মেহজাবিন একগাল হাসি দিয়ে বলেন, নাচের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আমাদের। নাচের সব বিষয় নিয়েই আমি ইভান ভাইয়ের পরামর্শ নেই। তার সঙ্গে মঞ্চে নাচতে ভালো লাগে। আমি আগে নাচতে পারতাম না। তার কাছে নাচ শিখেছি। এখনো শিখছি।

শুধু কাজ নয়, এর বাইরেও সোহাগের সঙ্গে মেহজাবিনের ভালো বন্ধুত্ব। মেহজাবিন জানালেন, সে যখন দেশের বাইরে যায় কিংবা কেনাকাটা করে আমার জন্য কেনাকাটা করে। আমার পছন্দ কেমন সেটা ভালো করেই জানে সে। তাছাড়া সোহাগ ভাইয়া সবসময় আমার পাশে থাকেন। যেটা আমার জন্য ভালো সেটাই করেন। আমি তাকে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকি সারাবছর। এর ফাঁকে সোহাগ ভাই আমার কাছ থেকে সময় নিয়ে নাচ শেখান। তিনি একজন ভালো শিক্ষক। ভালো করে জানেন, কখন নাচ শেখাতে হয়; কখনো আবার রাগ করলে পরেই আবার সরি বলেন। সবকিছু আমাকে শেখানোর জন্যই করেন। লাক্স থেকে বের হয়ে অভিনয় করতাম। নাচবো এটা কখনো ভাবিনি। সোহাগ ভাইয়া আমাকে হাতে ধরিয়ে নাচ শিখিয়েছেন।

অনুষ্ঠানের একফাঁকে ২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার বিজয়ী হওয়ার কিছু দৃশ্য দেখানো হয় মেহজাবিনকে। তখন তিনি কিছুটা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। সেসময় তার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। তখন মেহজাবিন বলেন, অনেকদিন পর আমি ওই সময়ের ভিডিও ফুটেজটি দেখেছি। ওগুলো আমার সংগ্রহে ছিল না। চ্যানেল আই তারকা কথন অনুষ্ঠানকে ধন্যবাদ আমাকে আবারো ওই স্মরণীয় মুহূর্তটি দেখানো জন্য।

অভিনয়ইভান শাহরিয়ারনাচমেহজাবিন