অনলাইন ডেস্ক: শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলা সোমেশ্বরী নদীর উজানে বালির বাঁধ নির্মান করে নদীর গতিপথ বন্ধ করে দিয়েছে উজানের অধিবাসীরা। এতে চলতি বোরো মৌসুমে সেচ সংকটে পড়েছে ভাটি এলাকার কৃষকরা।
ভারতের মেঘালয়ের পাহাড় চিরে সোমেশ্বরী নদীটি শ্রীবরদী উপজেলার খাড়ামুড়া-বালিজুড়ি সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। পরে এটি ঝিনাইগাতি হয়ে ভাটির দিকে প্রবাহিত হয়ে মিশেছে মালিঝি নদীর সাথে। স্থানীয়ভাবে সোমেশ্বরী নদীটির পরিচিতি ‘পাগলা নদী’ হিসেবে।
এই নদীর পানি দিয়ে দুই পাড়ের কৃষক বোরো আবাদ করতেন। কিন্তু প্রায় একযুগ ধরে জলবায়ূ পরিবর্তনসহ নানা কারণে নাব্যতা হারিয়েছে সোমেশ্বরী নদী।
কৃষক ও এলাকাবাসী জানায়, সেচের পানি না পাওয়ায় ঝিনাইগাতি উপজেলায় শত শত একর জমি অনাবাদী পড়ে রয়েছে।
তারা আরো জানান, পাগলা নদীর উজানে শ্রীবরদীর বালিজুড়ি থেকে ঝিনাইগাতীর দুপুরিয়া এলাকা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার প্রবাহ পথে এখন রয়েছে চারটি বাঁধ। এতে অন্তত ২০ গ্রামের প্রায় সাড়ে তিন হাজার একর জমি সেচ সংকটে পড়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এফ এম মোবারক আলী বলেন, ভাটির কৃষকরা সোমেশ্বরী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন ।