সুশাসন নিশ্চিত সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ: এইচ টি ইমাম

আওয়ামী লীগ সরকারের এ মেয়াদে বড় চ্যালেঞ্জ সুশাসন নিশ্চিত করা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন: আগামী দিনে আমাদের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হবে গুড গভর্নেন্স অর্থাৎ সুশাসন নিশ্চিত করা।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর নব-নিযুক্ত পাঁচ উপদেষ্টা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান। শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা এইচ টি ইমামের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিলো: সরকারের সামনের পাঁচ বছরে বড় চ্যালেঞ্জ কোনটি হবে বলে আপনি মনে করেন।

জবাবে তিনি বলল: আমার কলিগ যারা এখানে রয়েছেন তারা সকলেই আমার সঙ্গে মনে হয় একমত হবেন, আগামী দিন আমাদের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হবে গুড গভার্নেন্স অর্থাৎ সুশাসন নিশ্চিত করা। সুশাসন মানে শুধু শান্তি-শৃঙ্খলা থাকা নয়। জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। আর এ ম্যান্ডেট তিনি পেয়েছেন ইশতেহারের বিনিময়ে। এখন ইশতেহার বাস্তবায়নই চ্যালেঞ্জ। ইশতেহার বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।

দুর্নীতি-জঙ্গিবাদ এবং মাদক তিনটি বিষয় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে। দেশকে এগিয়ে নিতে দুর্নীতি রোধ, জঙ্গিবাদ দমন ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার বিকল্প দেখছেন না আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষ এ নীতিনির্ধারক।

তিনি বলেন: ইশতেহারে পরিষ্কার বলা হয়েছে দুর্নীতি-জঙ্গিবাদ এবং মাদক এ তিনটিই আমাদের প্রধান শত্রু। শুধু দুর্নীতি নয়, অপচয় কমানোর দিকেও আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। অনেক প্রকল্প আছে যেগুলোতে আমরা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি খরচ করে ফেলি। এটা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। যদি জঙ্গিবাদ দমন করে রাখতে পারি দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে। পেছন ফিরে তাকাতে হবে না।

টানা দশ বছর সরকার পরিচালনার পর এবার টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার পরিচালনা করছে আওয়ামী লীগ। দেশকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির বিশেষ কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে এইচ টি ইমাম বলেন: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিতে কী কী করবেন পরিষ্কার বলে দিয়েছেন। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও তার সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে।

তারুণ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন: তরুণ এবং তারুণ্যেই সমৃদ্ধি। এ দুটোতে আমাদের বিশেষ ফোকাস থাকবে। আমরা সকলকে নিয়ে শহর আর গ্রামের মধ্যে কোন পার্থক্য রাখবো না। আমার শহর, আমার গ্রাম একই হবে। অর্থাৎ গ্রামাঞ্চলেও উন্নয়ন সমানভাবে হবে। গ্রামগুলোকে আমরা এককভাবে নিয়েছি, এখন সামনে চ্যালেঞ্জ হলো কতো দ্রুততম সময়ে আমরা এগুলো ধরতে পারি।

সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে ডাবল ডিজিটের প্রবৃদ্ধি অর্জন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা বলেন: যে গতিতে আমরা গত দশ বছরে এসেছি, বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে। এখন আমাদের প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮। এ প্রবৃদ্ধির হারকে ডাবল ডিজিটে নিতে হবে। অন্তত ১০’র কাছাকাছি যেতে হবে। ডাবল ডিজিটে যেতে হলে যে প্রকল্পগুলো হাতে নেওয়া এবং বাস্তবায়নাধীন আছে সেগুলো আরও দ্রুত সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুনরায় নিয়োগ পাওয়া অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

এইচ টি ইমামএকাদশ জাতীয় নির্বাচনলিড নিউজ