এসময় উপস্থিত ছিলেন বেফাকুল মাদারেস আরাবিয়ার সভাপতি আল্লামা আহমাদ শফীর নেতৃত্বে কওমী মাদ্রাসভিত্তিক ৬টি বোর্ডের সদস্যরা। কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দেয়ার এ অনুষ্ঠানে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে দেশে ১৪ হাজারের বেশি কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী প্রায় ১৪ লাখ।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এখন থেকে দাওরায়ে হাদিস এর মান হবে ইসলামিক শিক্ষায় মাস্টার্স ডিগ্রির সমান।
হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামী সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের সামনে ভাস্কর্যের বিরোধিতায় নামে। হেফাজত এই ভাস্কর্য সরানোর দাবি জানিয়ে সরকারকে ৫ মে মতিঝিলে ফের সমাবেশের হুমকি দিয়ে আসাছিলো। ওলামা লীগও এই ভাস্কর্য অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল।
ভাস্কর্যটির বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি নিজেও এটা পছন্দ করিনি। বলা হচ্ছে এটা নাকি গ্রিক মূর্তি। আমাদের এখানে গ্রিক মূর্তি আসবে কেন? আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটা এখানে থাকা উচিৎ না। “গ্রিকদের পোশাক ছিল এক রকম। এখানে আবার দেখি শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে। এটাও হাস্যকর হয়েছে।”
ভাস্কর্য অপসারণের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে কথা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনার পর গণভবনে উপস্থিত আলেমরা আনন্দিত হয়ে ওঠেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “প্রধান বিচারপতির সঙ্গে খুব শিগগিরই বসব। আপনারা ধৈর্য ধরেন, এটা নিয়ে হৈ চৈ করবেন না। আমার উপর আপনারা এটুকু ভরসা রাখবেন। এটা নিয়ে যা যা করা দরকার আমরা তা তা করব।”
প্রধানমন্ত্রী ভাস্কর্য সরানোর দাবিতে একমত হলেও তার দলের কয়েকজন নেতা হেফাজতের দাবির সমালোচনা করে আসছিলেন।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছিলেন, “হেফাজত আজকে যেভাবে বলছে, তাতে মনে হচ্ছে এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নয়, মনে হচ্ছে এটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র।”