সুন্দরবনের ৬০ শতাংশ বাংলাদেশে আর ৪০ শতাংশ ভারতীয় অংশ জুড়ে। জলবায়ু পরিবর্তন, লবণাক্ততা আর মানবসৃষ্ট দুর্যোগে দুই অংশেই হুমকিতে সুন্দরবনের বনাঞ্চল আর জীববৈচিত্র্য। এ কারণে সুন্দরবন রক্ষায় দু’দেশের সাংবাদিক, গবেষক ও পরিবেশবাদীরা এক কাতারে কাজ করছে।
ওয়াল্ড হেরিটেজের তালিকায় থাকা সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশ- ভারত যৌথভাবে কাজ না করলে দীর্ঘ মেয়াদে সুন্দরবন আর জীববৈচিত্র পড়বে সংকটে। সুন্দরবন নিয়ে আন্তর্জাতিক কর্মশালায় উঠে এসেছে এ ধরণের আশংকা । কার্যকর উদ্যোগ নিতে নীতিনির্ধারকদের তাগিদ দিতে কাজ শুরু করেছেন বাংলাদেশ- ভারতের গণমাধ্যমকর্মীরা।
বিশ্বের বৃহত্তম ইকো সিষ্টেমস সুন্দরবন রয়েল বেঙ্গল টাইগার আর জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় জ্বলোচ্ছাসে দু’দেশেই ঢাল হিসেবে কাজ করে এই ম্যানগ্রোব ফরেষ্ট।
তবে জলবায়ু পরিবর্তন,লবণাক্ততার কারনে দুই অংশেই হুমকিতে পড়তে পারে বলে মনে করছেন ভারতর অঞ্চলের সুন্দরবনের বাসিন্দা। তিনি বলেন, সুন্দরবনের তলদেশে যদি লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ে তাহলে বনের আশ-পাশে কোনো মানুষ বসবাস করতে পারবে না এমনকি বনের মাছও নষ্ট হয়ে যাবে এ পানির জন্য।
সুন্দরবনকে রক্ষায় দু’দেশের সাংবাদিক, গবেষক ও পরিবেশবাদীরা এক কাতারে। প্রথমদিনে বনের ভারতীয় অংশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জীববৈচিত্র্যসহ সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করে প্রকৃতি ও জীবন ফাউণ্ডেশন চেয়ারম্যান মুকিত মুজমদার বাবু বলেন, সুন্দর বনের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হলো লবণাক্তা।এ কারনে দিনের পর দিন বনের জীববৈচিত্রে হারিয়ে যাচ্ছে। তাই অমরা সবাই ভাবছি কিভাবে মিডিয়ার মাধ্যমে বা অন্যন্য মাধ্যম দিয়ে একসঙ্গে সুন্দরবন রক্ষায় দু’দেশ কাজ করবে।
সুন্দরবন যদি রক্ষা না পায় তাহলে বনের পাশাপশি বিশাল এলাকা জুড়ে যে দু’দেশের মানুষরা বসবাস করছেন তারা আক্রান্ত হবেন বলে মনে করেন কলকাতা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক জয়ন্ত বসু।
জাহাঙ্গগীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান সাহাব এনাম খান জানান, বনের লবণাক্ততা কমাতে হলে মিঠা পানি বাড়াতে হবে তাহলে জীববৈচিত্র্য হয়তো আগের মতো আবার ফিরে আসবে বলে জানান তিনি।
এ সময় সুন্দরবন রক্ষায় বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ডাব্লিউ ডাব্লিউ এফ ও ইএনজির উদ্যোগে সুন্দরবন বিষয়ে আন্তর্জাতিক কর্মশালায় অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়েছে।