সুখবর অব্যাহত থাকুক

২০২২ সালের প্রথম দিনেই প্রবাসীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে সরকার। রেমিট্যান্সে এতদিন ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হলেও এখন থেকে তা বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে।

চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‌জনমানুষের সার্বিক জীবনমান উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের গুরুত্ব বিবেচনায় বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমজীবী মানুষের কষ্টার্জিত বৈদেশিক আয় বৈধ উপায়ে দেশে প্রত্যাবাসন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে সরকার প্রণোদনা/নগদ সহায়তা দেওয়ার বিদ্যমান হার বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্ধিত এ হার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স সংগ্রহের লক্ষ্যে সরকার ২০১৯-২০ অর্থবছরে রেমিট্যান্সে প্রথমবারের মতো ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা/নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৮.২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছে, যা এর আগের বছরের আহরিত রেমিট্যান্সের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি।

এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২৪ দশমিক ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০১৯-২০ অর্থবছরের আহরিত রেমিট্যান্সের তুলনায় প্রায় ৩৬ শতাংশ বেশি। এভাবে দিন দিন রেমিট্যান্সের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন বাড়তি প্রণোদনার ফলে সেই ধারা আরও উর্ধ্বগতি থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রশংসনীয় উদ্যোগকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।

তবে বাড়তি রেমিট্যান্সে আমাদের আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। বরং প্রবাস থেকে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে তাদের সমস্যা সমাধান ও সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতের দিকে আরও মনোযোগ দিতে হবে। বিদেশে দূতাবাসগুলো সেবাদানে যেন আরও প্রবাসীবান্ধব হয় তা নিশ্চিতের বিকল্প নেই। একইসঙ্গে নতুন নতুন শ্রমবাজার চালু করে দক্ষ কর্মীদের অল্প খরচে বিদেশে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ গ্রহণে যথাযথ ভূমিকা রাখার জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রবাসরেমিট্যান্সসম্পাদকীয়