সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর ওপর আত্মঘাতী হামলা

৪ মার্কিন সেনাসহ নিহত ১৯

সিরিয়ার মানবিজে মার্কিন সেনাদলের টহল চলাকালে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৪ মার্কিন সেনাসহ ১৯ জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে ৩ সেনাসহ আরও ১৮ জন।

মানবিজের স্বাস্থ্য কমিটি থেকে প্রথমে হতাহতের সংখ্যা ও তার মধ্যে মার্কিন সেনা সদস্য থাকার কথা জানানো হয়। পরে সিরিয়ায় মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড থেকে ৪ আমেরিকানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

২০১৫ সালে সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনী মোতায়েনের পর এটিই তাদের ওপর সবচেয়ে বড় ধরনের হামলা।

হামলার পরপরই জঙ্গি সংগঠন কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে। নিজেদের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা জানায়, বিদেশি বাহিনীর টহলকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

সিরিয়ার কুর্দি সংবাদ সংস্থা হাওয়া নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, হামলার ঘটনার কিছুক্ষণ পরই একটি হেলিকপ্টারে করে ঘটনাস্থল থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর সিরিয়া থেকে মার্কিন বাহিনীকে পুরোপুরি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিরিয়ায় অবস্থানরত প্রায় দু’হাজার সেনা সদস্য ফিরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে তখন নিজ প্রশাসনেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।

কিন্তু জানুয়ারির শুরুতেই নিজের সুর পাল্টে ফেলেন ট্রাম্প। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি আমরা অবশ্যই আমাদের সেনাদল সরিয়ে নেবো। কিন্তু খুব দ্রুত সরিয়ে নেবো তা তো বলিনি।’

‘আমরা সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছি… কিন্তু ততক্ষণ পুরোপুরি প্রত্যাহার করব না যতক্ষণ আইএস নির্মূল না হচ্ছে,’ বলেন তিনি।

এরপরই ইসরায়েল ও তুরস্ক সফরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন জানান,  কিছু ‘শর্ত’ পূরণ হলে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বলেন, উত্তর সিরিয়ায় কুর্দিরা নিরাপদ থাকবে, তুরস্কের কাছ থেকে এ নিশ্চয়তা চান তিনি।

শুধু তাই নয়, বোল্টন বলেন, সিরিয়ায় থাকা অবশিষ্ট কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরাও পুরোপুরি নির্মূল চায় যুক্তরাষ্ট্র। এসব শর্ত পূরণ হলেই দেশটি থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি সরিয়ে নেয়া হবে।

আইএসআইএস-সিরিয়াআত্মঘাতী হামলাডোনাল্ড ট্রাম্পমার্কিন সেনাসিরিয়াসিরিয়া যুদ্ধসেমি লিড