‘সিভিল সোসাইটি ইজ নো চামচা’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ডক্টর আকবর আলী খান বলেছেন, সুশীল সমাজের কাজ সরকারের সমালোচনা করা, গৌরবগাথা প্রচার করা নয়। স্থানীয় সরকার ও এসডিজি নিয়ে আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমপিরা স্থানীয় সরকারগুলোর উপরে জগদ্দল পাথরের মতো বসে থাকায় এগুলো কাগুজে প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করে ব্র্যাক ও হাঙ্গার প্রজেক্ট।

সেমিনারে আলোচকরা বলেন, আর্থিক স্বাধীনতা না থাকায় বাংলাদেশের স্থানীয় সরকারগুলো কাগজে কলমে আছে কিন্তু কার্যকর নয়। তার উপর উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা করে রাখা হয়েছে সংসদ সদস্যদের।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলী খান বলেন, ‘সংসদ সদস্যরা স্থানীয় সরকারের পক্ষে সুশীল সমাজের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। এটি বেশ কার্যকর। বর্তমানে সুশীল সমাজ একটি বিতর্কিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার বলে, সুশীল সমাজ কেনো সরকারের সমালোচনা করে? তাদের আলোচনায় সরকারের গৌরবগাধা কোথায়?’

এর উত্তরে তিনি নিজেই বলেন, ‘সিভিল সোসাইটি ইজ নো ‘চামচা’। সুশীল সমাজের কাজই হলো সরকার কোথায় ভুল করছে এবং কীভাবে সেগুলো ঠিক করা যায় তা চিহ্নিত করা।’

বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণে অনেক পরিকল্পনা আছে। কিন্তু তার সিকি ভাগও পূরণ হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে স্থানীয় সরকারের সহায়তা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার, ইউনিয়ন পরিষদ ডামাডোলের মধ্যে আছে।… থানা প্ল্যান বুক আজ থেকে ৪০ বছর আগে হয়েছে। বার বার পরিকল্পনা করে করে আমরা শেষ। কিন্তু বাস্তবায়ন কিছুই হয় না। এটাই সবচেয়ে দুর্বল দিক।’

স্থানীয় সরকারগুলোর আয় ও অর্থ ব্যয়ে যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা না গেলে স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়নের নামে আর্থিক অপচয় বন্ধ করা সম্ভব নয়।

এসডিজিটেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাস্থানীয় সরকার