মহামারীর পর পুরনো চেহারায় ফিরছে সিডনি চলচ্চিত্র উৎসবের ৬৯তম আসর। ৮ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত এই উৎসবে ৬৪টিরও বেশি দেশ থেকে মোট দুই শতাধিক ছবি নির্বাচিত হয়েছে। তার মধ্যে আছে দেশের মেধাবী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’।
বুধবার সকালে সিডনি ফিল্ম ফেস্টিভাল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বছরের প্রোগ্রাম ঘোষণা করেছেন ফেস্টিভাল পরিচালক ন্যাশেন মুডলি। তিনি জানান, এ বছর উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে থাকছে এক ডজন সিনেমা। এছাড়া স্পেশাল প্রেজেন্টেশন, ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি, ফিচারস, ফার্স্টনেশন এবং ইউরোপের নারী নির্মাতাদের নিয়ে ‘ভয়েস অব ওমেন ইন ফিল্ম’ বিভাগে থাকছে বাকি সিনেমাগুলো।
এশিয়ার চলচ্চিত্র উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং অস্ট্রেলিয়ার বড় চলচ্চিত্র উৎসবগুলার একটি হলো সিডনি ফিল্ম ফেস্টিভাল। আয়োজকদের আমন্ত্রণে উৎসবে যোগ দেওয়ার কথা আছে ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ এর নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর।
এ বিষয়ে তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, উৎসবে যোগ দিতে আমি যাবো ঢাকা থেকে, আর মেলবোর্ন থেকে আসবেন ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ এর অভিনেত্রী মেগান মিশেল।
উৎসবে ১৬ ও ১৯ জুন দর্শক দেখতে পারবেন ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’। ১৬ জুন স্থানীয় সময় রাত ৮টা ১৫ মিনিটে জর্জ স্ট্রিটের ৩ নম্বর সিনেমা হলে এবং ১৯ জুন রাত ৮টায় প্যালেস সেন্ট্রাল সিনেমা হলে অগ্রিম টিকেট কেটে সিনেমাটি দেখতে পারবেন দর্শক।
এরআগে গত ফেব্রুয়ারিতে ২৮তম ভেসুল চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয় মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর প্রথম আন্তর্জাতিক ভাষার ছবি ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’। শুধু তাই নয়, উৎসবে দর্শক পছন্দে সেরা ছবিও নির্বাচিত হয় এটি।
তৃতীয় বিশ্বের একজন মানুষের অস্তিত্বহীনতার বেদনাই ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ এর প্রধান অনুসঙ্গ। এতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। এছাড়াও বাংলাদেশ থেকে আছেন তাহসান, অস্ট্রেলিয়া থেকে মেগান মিশেল, ভারত থেকে ঈশা চোপড়া, বিক্রম কোচার এবং কিরণ খোজে।
ছবিতে সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি সহপ্রযোজক হিসেবে এ আর রহমান ছাড়াও প্রযোজক হিসেবে যুক্ত আছেন ফরিদুর রেজা সাগর, অঞ্জন চৌধুরী, নুসরাত ইমরোজ তিশা, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী ও আমেরিকান প্রযোজক শ্রীহরি সাঠে। কো-প্রডিউসার হিসেবে আছে বঙ্গবিডি।
‘নো ল্যান্ডস ম্যান’-এর চিত্রনাট্য একাধিক ফেস্টিভালে ফান্ড জিতে নিয়েছে। এটি ২০১৪ সালে বুসান ফিল্ম ফেস্টিভালে এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে নির্বাচিত হয়। একই বছর নভেম্বরে ভারতের এনএফডিসি আয়োজিত ফিল্ম বাজারে শ্রেষ্ঠ প্রজেক্টের পুরস্কার লাভ করে এবং ডিসেম্বরে মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ আমেরিকা এবং এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ড-এর যৌথ উদ্যোগে দেয়া অ্যাপসা ফিল্ম ফান্ড লাভ করে। এখন পর্যন্ত চলচ্চিত্রটি বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, কায়রো চলচ্চিত্র উৎসব সহ বেশকিছু উৎসবে প্রদর্শীত ও প্রশংসিত হয়েছে।