ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন: আমাদের রাজনৈতিক প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি। তাদের মহাসচিব নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিলে আমি পারছি না কেন? এটা কেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড?
শুক্রবার তেজগাঁওস্থ এলেনবাড়িতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঢাকা জোন অফিসে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উদ্যোগে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল (প্রতিকৃতি) উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
এসময় তিনি বলেন: আজ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন, অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তা করতে পারবেন না। বিএনপির মহাসচিব নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করতে পারবেন কিন্তু আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি সেটা করতে পারবেন না। এটাকি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলো? নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি জানতে চাই এটা কেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। এখানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আছে, আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি নেই!
ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এ নেতা নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন: বিএনপি জনসম্মুখে প্রচার চালাতে পারবে অথচ আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যরা কেন পারবেন না, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন থেকেই যায়।
প্রতিবেশি দেশ ভারতের নির্বাচনী আইনের উদাহরণ তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: ভারতের বিধানসভা নির্বাচনে তাদের প্রধানমন্ত্রীও নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারেন, অথচ আমরা তা পারি না। এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
প্রশ্ন তুললেও নির্বাচনী আইন শতভাগ মেনে চলার অঙ্গীকার করেন কাদের। বলেন: আমরা তারপরও বলব– নির্বাচন কমিশনের দেয়া আচরণবিধি আমরা পালন করব। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এ আচরণবিধি সম্পূর্ণভাবে মেনে চলছি।
আগামি ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে আজ থেকে শুরু হয়েছে প্রচার। এবারই প্রথম দুই সিটির প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে।