সিলেট থেকে: ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে চার-ছক্কার ঝড় তুলে সাব্বির রহমান এনে দিয়েছিলেন বড় পুঁজি। পরে দারুণ বোলিং করে দলকে জয়ের পথে রাখেন তাসকিন আহমেদ। সিলেট সিক্সার্সের দুই তরুণের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের দিনে দল পায়নি সাফল্য। ১৯৪ রানের পাহাড় গড়েও ৩ বল আগেই রংপুর রাইডার্সের কাছে হার দেখতে হয়েছে।
শুরুতে সাব্বির খেলেন ৫১ বলে ৮৫ রানের ইনিংস। তাসকিন নেন ৪ উইকেট। দারুণ খেলতে থাকা এবি ডি ভিলিয়ার্সকে বোল্ড করে আনেন ব্রেক থ্রু। ১৮তম ওভারে দুই উইকেট শিকার করে দলকে জয়ের কাছে রেখেই শেষ করেন কোটা (৪২/৪)। পরের ওভারে মেহেদী হাসান রানা ১৯ রান দিয়ে বসলে হয় স্বপ্নভঙ্গ। হারের হতাশা নিয়েই সিলেট পর্ব শেষ করল হোম টিম।
দুইশর কাছাকাছি সংগ্রহ নিয়েও হারের অভিজ্ঞতা অনেক বড় কষ্টে পরিণত হয়েছে তাসকিনের কাছে। কারণটা সাব্বিরের কথা ভেবেই, ‘ব্যক্তিগতভাবে আজকে আমার ম্যাচ হারার পর খুবই খারাপ লাগছে, জিতলে হয়ত সাব্বির ম্যাচ সেরা হতো। আমি আসলে খুবই কষ্ট পেয়েছি। ওর জন্য হলেও জেতা উচিত ছিল।’
রংপুরের দরকার ছিল ২ ওভারে ২৪ রান। ১৯তম ওভারে এসে পেসার রানা দিয়ে বসেন ১৯ রান। শেষ ওভারে ৫ রান দরকার পড়লে অলক কাপালির ওভারের প্রথম ৩ বলেই তুলে নেয় রাইডার্সরা। টানা তিন হারের বৃত্ত ভাঙে মাশরাফীর দল।
রানা ৪ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে ভাগ বসিয়েছেন লজ্জার এক রেকর্ডে। বিপিএলে এক ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ডে এটিই সর্বোচ্চ। চলতি আসরেই সিক্সার্সের আরেক পেসার আল-আমিন হোসেন মিরপুরে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে দেন ৫৭ রান।
২২ বছর বয়সী রানার সিক্সার্সের হারের জন্য দায় থাকলেও তাসকিন তাকে কাঠগড়ায় তুলতে চান না। এ পেসার মনে করেন ম্যাচজুড়েই ছোট ছোট ভুলের কারণে বিসর্জন দিতে হয়েছে জয়, ‘মেহেদী অনেক ভালো বোলার। ওর লাইফের দ্বিতীয় ম্যাচ বিপিএলে (আসলে তৃতীয় ম্যাচ)। ও এর আগে এমন অবস্থার সম্মুখীন হয়নি। একটু নার্ভাস তো ছিলই। কিছু এক্সিকিউশন ভুল করেছে।’
‘এই লেভেলে টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে যাদের সাথে আমরা খেলি, আমাদের স্থানীয়দের মধ্যে সেরা খেলোয়াড়রাই খেলে। আর বিদেশিরা তো সবাই প্রমাণিত খেলোয়াড় থাকে। আসলে ডেথ ওভার বা পাওয়ার প্লে-তে ভুলের মার্জিনটা খুব কম থাকে। উনিশ-বিশ হলেই রান হয়। শুধু ও নয়, আমাদের সবার আজ একটু লুজ বল হয়েছে। সেটাতেই রান হয়েছে। আশা করি এই ভুল থেকে শিখবে, ভবিষ্যতে ভালো করবে।’