চট্টগ্রাম থেকে: ফরচুন বরিশাল ইনিংসের ১৮তম ওভার তখন শেষ। সাকিব আল হাসান অপরাজিত ৭২ রানে। ইফতিখার আহমেদ ৭০ রানে। খেলার বাকি ১২ বল। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে কারো সেঞ্চুরি পূর্ণ হওয়া অসম্ভব মনে হলেও বিশ্বাস রেখেছিলেন সাকিব। ইফতিখারকে তিন অঙ্কের পিছু ছুটতে বলেছিলেন বরিশাল অধিনায়ক।
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচে ইফতিখার ঠিকই সেঞ্চুরি করেছেন। ৩৮ বলে ৭০ থেকে এ পাকিস্তানি সেঞ্চুরি তোলেন ৪৫ বলে। শেষের ৭ বলে ৩০ রান নেন। ৫ বলে ১৭ রান নেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৮৯ রানে অপরাজিত যান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। যেটি তার টি-টুয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
পঞ্চম উইকেটে ইফতিখার-সাকিবের ১৯২ রানের জুটিতে ২৩৮ রানের বিশাল পুঁজি পায় বরিশাল। বিপিএলে টানা চার নম্বর জয়টি তুলে নেয় ৬৭ রানে।
খেলা শেষে ইফতিখার নিজের সেঞ্চুরির কৃতিত্ব দেন সাকিবকেও। তিনি বলেন, ‘আমার রান যখন সত্তর তখন সাকিব ভাই বলেছিল, সেঞ্চুরির পেছনে ছোটো। অধিনায়ক হিসেবে সে আমাকে খুব স্বাধীনতা দিচ্ছে। নিজের মতোই খেলতে বলছে। সে অনেক অভিজ্ঞ। খুব ভালো অধিনায়ক।’
উইকেটে বল যেভাবে ব্যাটে আসছিল আর সাকিব যেমন আগ্রাসী ছিলেন তাতে নিজেও একশ ছোঁয়ার সুযোগ নিতে পারতেন। কিন্তু সেটি করেননি। সতীর্থের ওপর ভরসা রেখে বিসর্জন দিয়েছেন নিজের সেঞ্চুরি।