চতুর্থ ধাপে ১০৭টি উপজেলা পরিষদে ভোট গ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন সংসদ সদস্যদের আওতা থেকে মুক্ত করা না হলে, উপজেলা নির্বাচন কোনোক্রমেই সুষ্ঠু স্বাভাবিক ও ত্রুটিমুক্ত হওয়া সম্ভব নয়।
রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
লিখিত ওই বক্তব্য মাহবুব তালুকদার বলেন নির্বাচন বিষয়ে অনাস্থা থেকে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না। যেসব কারণে ভোটারদের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছি, সেসব কারণ খুঁজে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ একান্ত আবশ্যক। বিগত দুইবছরের নির্বাচন নিয়ে কমিশনের আত্মসমালোচনা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্র বন্ধ করা এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে পুলিশ ও নির্বাচন কমিশন কঠোর যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তা জাতীয় নির্বাচনের সময় দেখা যায়নি কেন? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজলে জাতীয় নির্বাচনের স্বরূপ উদঘাটন হবে। নির্বাচন বা ভোট প্রদানে জনগণের যে অনীহা তৈরি হয়েছে তা রাজনীতিবিদদের গুরত্বসহকারে ভেবে দেখা প্রয়োজন।নির্বাচন কমিশন এই গণতন্ত্রের শোকযাত্রায় সামিল চায় না।
‘জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন সর্বোতভাবে নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত করা প্রয়োজন। রিমোট কন্ট্রোলে নির্বাচনকে কন্ট্রোল করা হলে, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে যা গণতন্ত্রের জন্য অনভিপ্রেত। এজন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত একান্ত অপরিহার্য’।
এর মধ্যে ছয়টি জেলার সদর উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। টানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বেশ কিছু কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
সামগ্রিক ভাবে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে ইসি সচিব বলেছেন, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেজন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছিলো ইসি। তদন্ত সাপেক্ষে স্থগিত কেন্দ্রগুলোর ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
চতুর্থ ধাপে ১২২টি উপজেলার নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ইতোমধ্যে এই ধাপে ১৫টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এ তিন পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই ১৫টি উপজেলার ভোটাররা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না।
চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী ৩৫১ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৫৩৩ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৪০৬ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৯ হাজার ৭৪০ টি। ভোটকক্ষের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৬৯৬ এবং মোট ভোটার ২ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ৭০৪ জন।