সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করে মাইক্রোসফটে রোবট নিয়োগ

এখন থেকে সাংবাদিকদের কাজ করবে রোবট। এজন্য বেশ কয়েকজন চুক্তিভিত্তিক সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেছে টেক জায়েন্ট মাইক্রোসফট।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সংবাদ, ছবি, শিরোনাম মাইক্রোসফটের এমএসএন ওয়েবসাইটে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে করার উদ্যোগ নিয়েছে মাইক্রোসফট।

বর্তমানে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্য থেকে নিউজ সংগ্রহ করা, শিরোনাম দেওয়া এবং ছবি যোগ করার কাজ করে আসছিলেন সাংবাদিকরা। কিন্তু তাদের কাজটা এখন ন্যস্ত করা হবে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির উপর।

মাইক্রোসফট দাবি করেছে, নিজেদের ব্যবসার উন্নয়নমূলক পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করেছে।

এক বিবৃতিতে মাইক্রোসফট বলেছে, ‘অন্য যে কোনো প্রতিষ্ঠানের মতো আমরাও নিয়মিত আমাদের ব্যবসা উন্নত করার চেষ্টা করি। এটা করতে গিয়ে কখনো কখনো আরো বেশি অর্থ খরচ করতে হয়। এই উদ্যোগ করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গৃহিত কোনো ব্যাপার নয়।’

আরো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মতো, মাইক্রোসফটও সংবাদ মাধ্যমের উপাদান তাদের ওয়েবসাইটে ব্যবহারের জন্য টাকা প্রদান করে। তারা সাংবাদিকদের নিয়োগ দিয়েছিল কোন সংবাদটি তারা প্রকাশ করবে, তার শিরোনাম কী হবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য।

জুন মাসের শেষ নাগাদ অন্তত ৫০ জন সাংবাদিক তাদের চাকরি হারাবেন। তবে ফুল-টাইম কাজ করেন এমন এক দল সাংবাদিককে রেখে দিবে মাইক্রোসফট।

চাকরি হারানো একজন সাংবাদিক বলেন, এটা হতাশাজনক যে মেশিন এখন মানুষের জায়গা দখল করে নিচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো এখন এমনই হবে।

চাকরি হারানো আরও কয়েকজন সাংবাদিক বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সাংবাদিকতা করার ধারণাটি ভুল প্রমাণিত হবে। কারণ এর মাধ্যমে কড়া সম্পাদকীয় নীতি অনুসরণ করা অসম্ভব। তারা মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অপ্রাসঙ্গিক খবর প্রকাশ করে দিতে পারে।

অন্যদিকে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মাইক্রোসফট থেকে চাকরি হারানো ২৭ জন সাংবাদিককে চাকরি দিয়েছে যুক্তরাজ্যের পিএ মিডিয়া।

একজন সাংবাদিক গার্ডিয়ানকে বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করেছি। এখন আমার চাকরিই এই পদ্ধতির কারণে হুমকির মুখে পড়লো!

মাইক্রোসফটরোবটসাংবাদিক