বিপ টেস্টে দেশের পেস বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর (১২.৮) পেলেও ঢাকা বিভাগের প্রাথমিক দলে জায়গা পাননি আলি আহমেদ মানিক। ২২ বছর বয়সী এ ডানহাতি পেসার ১৯ সদস্যের দলে নিজের নাম দেখতে না পেয়ে হতাশ হলেও পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ভবিষ্যতে ভালো কিছুর আশায়।
দুপুরে মিরপুরের একাডেমি মাঠে জাতীয় দলের ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতোর অধীনে ফিটনেসের কাজ করছিলেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় থাকা তাসকিন আহমেদ। বিভিন্ন ধাপে দৌড়ে ইনটেনসিটি বাড়ানোর কঠিন অনুশীলনে জাতীয় দলের এ পেসারের সঙ্গী হয়েছিলেন মানিক। পরে জানা গেল জুলিয়ান নাকি তাসকিনকে বলেছেন, এমন কারও সঙ্গে কাজ করতে যার ফিটনেস খুব ভালো। তাসকিন বেছে নেন মানিককে।
ফিটনেস টেস্টে আদর্শমান ছাড়িয়ে গেলেও জাতীয় লিগের দলে না থাকায় অবাক মানিক নিজেও। জানালেন, চালিয়ে যাবেন কঠোর পরিশ্রম।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে যখন বাংলাদেশের কোচ তখন হঠাৎ করেই বিসিবি একাদশে ডাক পান মানিক। ফতুল্লায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেন দীর্ঘকায় এ পেসার। পরে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় অনেকদিন ছিলেন ক্রিকেটের বাইরে। সুস্থ হয়ে ফিটনেসের উপর জোর বাড়ান।
দুটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ও তিনটি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলা মানিক আশায় ছিলেন এবার জাতীয় লিগে মেলে ধরবেন নিজেকে। ফিটনেস টেস্টে লেটার মার্কস পাওয়ায় আশার বেলুন বড় হচ্ছিল তার। সেই বেলুন ফুটো হয়ে গেছে তালিকায় নিজের নাম না দেখে। এখন ভবিষ্যতের দিকেই তাকিয়ে এ পেসার।
১০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরনো আসর জাতীয় ক্রিকেট লিগ। দল গঠনে খেলোয়াড়দের ফিটনেসের উপর দেয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। যে কারণে বিপ টেস্টে ১১ নম্বর পেতেই হবে, এমন শর্ত আরোপ করেন নির্বাচকরা। কিন্তু কঠোর মনোভাব থেকে সরে আসতে হচ্ছে তাদের। কেননা প্রথম দফায় ফিটনেসের মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সেরাদের কয়েকজন। যে কারণে শিথিল করা হয়েছে বেঞ্চমার্ক।
‘১০’ তুলেই খুশি তারা
১০ পয়েন্ট তুলতে পারলেই যার যার বিভাগীয় দলে খেলার ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে ৩০ পেরিয়ে যাওয়া ক্রিকেটারদের। রোববার খুলনায় আবার পরীক্ষা দিয়ে তুষার ইমরান তুলতে পেরেছেন ১০.১, মিরপুরে আব্দুর রাজ্জাকও পেয়েছেন দশের কিছু বেশি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ব্যাটে-বলে দেশের সেরা দুই পারফর্মারের সঙ্গে উতরে গেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, নাসির হোসেন, ইলিয়াস সানি, মোহাম্মদ শরিফ, আরাফাত সানিরা।
একসময় জাতীয় দলে খেলেছেন ৩০ পেরিয়ে যাওয়া এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের শরিফ পেয়েছেন সবচেয়ে বেশি (১১.১)। ঢাকার আরেক পেশার শাহাদাত হোসেন রাজিব বেঞ্চমার্ক ছাড়িয়েছেন আগেই। মোহাম্মদ শহিদ হতাশ করেছেন সবাইকে। রোববার পরীক্ষা দিয়ে পেয়েছেন পাঁচের কিছু বেশি। ঢাকা বিভাগীয় দলে শাহাদাত-শরিফদের সঙ্গে মানিক নাকি শহিদ থাকবেন, সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচকদের। সোমবার ঘোষণা করা হতে পারে আট দলের চূড়ান্ত স্কোয়াড।