সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা ৪০ শতাংশ বাড়ানোর নির্দেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য সোমবার ৭টি আবাসন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডে এসব প্রকল্প উদ্বোধনকালে তিনি বলেন: আমরা মন্ত্রিসভার সদস্য, সচিব ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ১ হাজার ৬৭১টি আবাসন প্রকল্প উদ্বোধন করেছি।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে এসব প্রকল্পের ৪টি সম্পন্ন করেছে গণপূর্ত বিভাগ। অপর ৩টি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করেছে জাতীয় গৃহায়ণ ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: আমি আশা করি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে আবাসন সুবিধা পেয়ে তারা তাদের দায়িত্বের প্রতি আরো মনোযোগী হবেন।

তিনি বলেন: ইতোমধ্যেই তিনি সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য রাজধানীতে আবাসন সুবিধা আরো ৪০ শতাংশ বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছি। ২০১৪ সালে এটা ছিল মাত্র ৮ শতাংশ।

শেখ হাসিনা বলেন: আমরা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে আরো ১৬টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ হাজার ৩৫০টি ফ্লাট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া, ১৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে আরো ১ হাজার ৬৭৪টি ফ্লাট নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা ইতোমধ্যে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ১ হাজার ৫১২টি ফ্লাট নির্মাণ করে তাদের মধ্যে বিতরণ করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন: তার সরকার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসন সুবিধার জন্য ইতোমধ্যে ৬৪টি জেলায় ২ হাজার ৮১৬টি ডরমেটরি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।

তার সরকার সবার জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন: আমরা ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের জনগণের জন্য ৩৩ হাজার ৫২৬টি প্লট উন্নয়ন এবং ৮ হাজার ৯২২টি ফ্লাট বিক্রির জন্য নির্ধারণ করেছি। এর মধ্যে উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের ৬ হাজার ৬৩৬টি ফ্লাট বিক্রির জন্য নির্মাণ করেছি। আরও ১৮ হাজার ১০৫টি ফ্লাটের উন্নয়ন এবং ৮ হাজার ৩৯টি ফ্লাটের নির্মাণ কাজ চলছে। আমরা দেশব্যাপী ১৮ হাজার ১৪৮টি প্লট উন্নয়ন এবং ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৭টি ফ্লাট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এসব প্লট ও ফ্লাটের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে জনগণের আবাসন সমস্যা দ্রুত হ্রাস পাবে।

তিনি বলেন: আমরা একটি লোককেও বস্তিতে বসবাস করতে দিতে চাই না। কাজেই আমরা রাজধানীর বস্তিবাসীর জন্য এখন ফ্লাট নির্মাণ করছি। এরমধ্যেই মিরপুরে ৫৩৩টি ফ্লাটের নির্মাণ কাজ চলছে। এছাড়া, বস্তিবাসীর জন্য আরো ১৬ হাজার ফ্লাট নির্মাণের পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন: আমরা সুপরিকল্পিত নগরায়ন এবং সময়োপযোগী হাউজিং ও বিল্ডিং রিসার্চ ইন্সিটিটিউট অর্ডিন্যান্স আইন পাস করেছি।

প্রধানমন্ত্রী পরে নগরীর ইস্কাটন রোডে গ্রেড-১ সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত ৩টি ভবনের একটি পরিদর্শন করেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ৭টি প্রকল্পের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

কর্মকর্তা-কর্মচারীপ্রধানমন্ত্রীরাজধানীশেখ হাসিনাসরকারি