২০১৪ সালে চরম এক দুঃসময়ে অধিনায়কত্ব নিয়ে বাংলাদেশের চেহারাই পাল্টে দিয়েছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ২০১৫ সালে তার নেতৃত্বেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে টাইগাররা। খেলেছে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল। গত বছর এশিয়া কাপের ফাইনালেও। টাইগার দলপতির সামনে থেকে দেয়া নেতৃত্বগুণ চোখে লেগে আছে পাকিস্তানি গ্রেট শোয়েব আখতার ও রশিদ লতিফের!
অভিজ্ঞতার দিক থেকে তাই ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সেরা অধিনায়ক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন মাশরাফী। বাকী ৯ দলের কোনো অধিনায়কেরই নেই চার বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা। মাশরাফী সেখানে খেলেছেন ২০০৩ বিশ্বকাপ। চোট না থাকলে ঘরের মাঠে ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের নেতৃত্ব থাকতো তার কাঁধেই।
কেবল অভিজ্ঞতাই নয়, নিজের চোট নিয়ে না ভেবে বুক চিতিয়ে নেতৃত্ব ও দলকে এক সুতোয় গেঁথে রাখার পারদর্শিতায় মাশরাফীকে সবার থেকে এগিয়ে রাখছেন শোয়েব। পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল পিটিভি স্পোর্টসের এক অনুষ্ঠানে সব দলের বিশ্বকাপ স্কোয়াড সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে একথা বলেন পাকিস্তানের সাবেক গতিদানব। একই অনুষ্ঠানে থাকা রশিদ লতিফও প্রশংসা করেছেন টাইগারদের।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে রশিদ লতিফ যখন মাশরাফীর কৃতিত্ব ব্যাখ্যা করার জন্য সঠিক শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না তখন তাকে থামিয়ে শোয়েব বলেন, ‘এক কথায় ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেরা অধিনায়ক মাশরাফী। তবে তাদেরকে বেশি উচ্চাভিলাষী হওয়া যাবে না। তাহলেই তারা বিশ্বকাপে ভালো করবে।’
বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের গভীরতা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে রশিদ লতিফ বলেছেন, ‘২০১৪ সাল থেকেই দারুণ ক্রিকেট খেলছে বাংলাদেশ। তারা ঘরের মাঠে ভারত, পাকিস্তান, সাউথ আফ্রিকার মতো দলকে হারিয়েছে ওয়ানডেতে। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দিয়েছিল তারা। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা অনেক সুন্দর স্ট্রাইক রোটেট করে খেলতে পারে, যেটি তাদের জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট।’