একাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি দাবি করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে আজ বুধবার কাল ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন: তাদের তো শোচনীয় পরাজয়ের কারণে কালো ব্যাজ ধারণ করা উচিত।
বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন: নির্বাচনের শোচনীয় পরাজয়ের জন্য তাদের কালো ব্যাজ ধারণ করা উচিত। তারা এত শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের এ পরাজয়ের কারণে তাদের কালো ব্যাজ ধারণ করা উচিত। এত বড় একটি রাজনৈতিক দল, কেন্দ্রে তারা খুব কম এজেন্ট দিতে পেরেছে। এজেন্ট দেওয়ার মতো সব ক্ষমতা তাদের নেই। যারা কেন্দ্র পাহারা দেবে বলে নির্বাচনের আগে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে নির্বাচনের দিন তাদের ভোট কেন্দ্রে দেখা যায়নি।
এ সময় বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: এখন তারা এই শোচনীয় পরাজয়ের জন্য কালো ব্যাজ ধারণ করুক এতে করে তাদের নেতা-কর্মীরা এবং দেশবাসী জানতে পারবে তারা কেন কালো ব্যাজ ধারণ করেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র এবং উপজেলায় ৩০ ডিসেম্বরের আদলে নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) এ বক্তব্যের সঙ্গে কাদের একমত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন: ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার ইলেকশন। তার (সিইসি) সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ কোথায়? জাতীয় নির্বাচন যেভাবে হয়েছে উপজেলা নির্বাচনেও সেভাবেই শিডিউল অনুযায়ী হবে। এতে দ্বিমত প্রকাশের কোন সুযোগ নেই।
বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, এমন ঘোষণায় আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা উন্মুক্ত করবে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: উন্মুক্ত-ই যদি করবো তাহলে এত আয়োজন করে মনোনয়ন ফরম বিতরণ কেন?
তিনি যোগ করেন: মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন এর আগ পর্যন্ত আপনারা বলতে পারেন না কে অংশ নেবে আর কে নেবে না। শেষ মুহূর্তেও অনেকে সিদ্ধান্ত বদল করতে পারে। তাই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগ পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।
কোন রাজনৈতিক দল না এলে জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনের ট্রেনও থেমে থাকবে না বলে দাবি করেন তিনি।
এছাড়া, বিএনপির দলীয়ভাবে নির্বাচন না করলেও তাদের অনেক প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে পারে বলে ‘আমার কাছে খবর আছে’ বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন কাদের।
তবে, দলীয় মনোনয়নের বাইরে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে জাতীয় নির্বাচনের মতো দল কঠোর অবস্থানে থাকবে কিনা তা পরিষ্কার করেননি তিনি।