শেষ হলো ঢাকা সিটি নির্বাচনের প্রচারণা

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে: বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না প্রার্থীরা।

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী: ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ৩২ ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের প্রচারণা শেষ করতে হয়। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকা সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলবে।

এবারের নির্বাচনে ব্যালট পেপারের পরিবর্তে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে(ইভিএম) অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের অভ্যস্ত করে তুলতে এবং নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ হিসেবে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে অনুশীলনমূলক ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন করতে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ৭৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে রাজধানীতে মোটরসাইকেল চলাচলে ৫৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)।

এই নিষেধাজ্ঞা বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

এছাড়া মোটরচালিত যানবাহন চলাচলও ১৮ ঘণ্টার জন্য সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। তবে এটি শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী এলাকাসমূহে কার্যকর হবে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)কেএম নুরুল হুদা। কিন্তু ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার দিনে ঢাকা সিটি নির্বাচনের তারিখ দেয়ায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল নির্বাচন কমিশন(ইসি)।

এরপর গত ১৮ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পিছিয়ে ৩০ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করে ইসি, যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে সরস্বতী পূজা উদযাপন করতে পারেন।

এর আগে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ইসিনির্বাচন কমিশননির্বাচনী প্রচারণা