শেরপুরে বোরো আবাদে রোগের সংক্রমণে দিশেহারা কৃষক

হাকিম বাবুল, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি : দূর থেকে দেখলে মনে হবে ধান গাছগুলো পেকে সোনালী রং ধারণ করেছে। কিন্তু কাছে গেলেই চোখের বিভ্রম ধরা পড়ে। পাকা নয়, ধান গাছগুলো যেন পুড়ে ঝলসে গেছে। গাছের সব ধানের শীষ শুকিয়ে সাদা হয়ে ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। ‘নেক ব্লাস্ট’ বা ঘাড় পচা রোগের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

শেরপুরে বোরো আবাদে জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই ‘নেক ব্লাস্ট’ বা ঘাড় পচা রোগের প্রাদুর্ভাবে সম্ভাব্য লোকসানের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বোরো চাষিরা।

জেলার ৫ উপজেলাতেই এবার বোরো আবাদে নেক ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকের শত শত একর জমির বোরো আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বলছেন, বিআর-২৮ ও হাইব্রীড সুপার জাতের ধানেই এ রোগের প্রকোপ বেশি হয়েছে।

কৃষি বিভাগের দাবি, বৈরী আবহাওয়া, জমিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বীজের সমস্যার কারণে সাধারণত ‘নেক ব্লাস্ট’ রোগের আশঙ্কা থাকে।

তাদের তদারকি আর পরামর্শে প্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার করে স্বল্প পরিসরেই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সেজন্য তাদেরকে কৃষি পুনর্বাসনের আওতায় সহায়তা করা প্রয়োজন বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও কৃষি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

ধানশেরপুর