ক্যাসিনো ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগে যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুর রহমান মারুফকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তাকে দেয়া তলবি নোটিশে অভিযোগ করা হয়, সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে জিকে শামিমের মতো ঠিকাদারদের কাজ পাওয়া ও অবৈধ অর্থ অর্জনে সহযোগিতা করেছেন তিনি।
ক্যাসিনোবিরোধী চলমান শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিমের ছোট ভাই ও যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ মারুফকে ২৯শে ডিসেম্বর নোটিশের মাধ্যমে ৭ জানুয়ারি তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন। তলবি ওই নোটিসে অভিযোগ করা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে কাজ পাওয়া এবং অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা ও বিদেশে অর্থ পাচারে জিকে শামিমসহ ঠিকাদারদের সহযোগিতা করেছেন শেখ মারুফ।
অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার সকালে দুদক কার্যালয়ে হাজির হন শেখ মারুফ। জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। প্রায় চার ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। এরই মধ্যে সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ মারুফ ও তার স্ত্রী সানজিদা রহমানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ক্যাসিনোবিরোধী অনুসন্ধানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে খালেদ মাহমুদ ভুইয়ার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার, ভাই মাসুদকে ১২ জানুয়ারি এবং ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের স্ত্রী শারমিন চৌধুরীকে ১৩ জানুয়ারি তলব করে মঙ্গলবার নোটিশ পাঠিয়েছে দুদক।