শীর্ষে মোস্তাফিজ, দশে রুবেল-রানা-ইবাদত

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে উইকেট সংগ্রহ

পেসারদের সাফল্যের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছেন চারজন। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চার পেসার নিয়েছেন ২০টি করে উইকেট। যার দুজন বাংলাদেশি। উইকেট সংগ্রহের তালিকায় সদ্যগত আসরে সেরা ১১-এর ১০ জনই গতির বলার। সবেধন স্পিনারজন আফগান মুজিব-উর রহমান।

খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে রাজশাহী রয়্যালসের শিরোপা উঁচিয়ে ধরার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পর্দা নেমেছে শুক্রবার। টি-টুয়েন্টির চার-ছক্কার আসরে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি আলো কেড়েছেন বোলাররাও। ব্যক্তিগত অর্জনের পিঠে হয়েছেন দলের ত্রাতা।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

তবে ব্যাটিংয়ে শীর্ষ তালিকায় যেমন দেশিদের দাপট দেখা গেছে, বোলিংয়ে সেরাদের মাঝে জায়গা করে নিতে বিদেশিদের সঙ্গে মোস্তাফিজ-রুবেলদের লড়তে হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি ভাবে।

রানার্সআপ খুলনার মোহাম্মদ আমির ও রবি ফ্রেইলিঙ্ক, রংপুর রেঞ্জার্সের মোস্তাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের রুবেল হোসেন এবারের আসরে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। প্রত্যেকেই নিয়েছেন ২০টি করে উইকেট।

চারজনের একই সংখ্যক উইকেট হলেও গড়, ইকোনমি ও স্ট্রাইকরেট বিবেচনায় শীর্ষে মোস্তাফিজ। ১৫.৬০ গড়ে, ৭.০১ ইকোনমিতে, প্রতিটি উইকেট নেয়ার জন্য ১৩.৩টি বল খরচ করেছেন এ বাঁহাতি পেসার। ১২ ম্যাচে সেরা বোলিং ১০ রানে ৩ উইকেট।

ফিজের পরে পাকিস্তানি মোহাম্মদ আমির, ১৩ ম্যাচে যার সেরা বোলিং ১৭ রানে ৬ উইকেট। এরপর রুবেল হোসেন, ১৩ ম্যাচে সেরা বোলিং ১৭ রানে ৩ উইকেট। এই পারফরম্যান্স দিয়ে টাইগার পেসার পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশের তিন টি-টুয়েন্টির সিরিজে জায়গা করে নিয়েছেন।

বিশ উইকেট নেয়া অপরজন রবি ফ্রেইলিঙ্ক, শীর্ষে থাকার মতো উইকেট তুলতে এ প্রোটিয়াই বেশি ম্যাচ খেলেছেন, ১৪টি। সেরা বোলিং ১৬ রানে ৫ উইকেট।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ উইকেট খুলনার মিডিয়াম পেসার শহিদুল ইসলামের। চট্টগ্রামের মেহেদী হাসান রানা ১৮ উইকেট নিয়ে আলো কেড়েছেন। ১০ ম্যাচে সেরা বোলিং ২৩ রানে ৪ উইকেট।

এরপর একজন স্পিনার এসেছেন তালিকায়। আফগানিস্তানের মুজিব-উর রহমান, কুমিল্লার জার্সিতে ১২ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছেন।

ইংলিশ পেসার লুইস গ্রেগরি ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। পাকিস্তানি মোহাম্মদ ইরফান ১২ ম্যাচে ১৪ উইকেট ঝুলিতে জমিয়েছেন।

বাংলাদেশের আরেক পেসার ইবাদত হোসেন ১২ ম্যাচে ১৪, রাজশাহীর শিরোপাজয়ী পেস-অলরাউন্ডার অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল সমান ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছেন।

এরপর আবারও একজন স্পিনারের দেখা মিলেছে। ঢাকার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান ১৩ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছেন। কুমিল্লার টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার মিডিয়াম পেসে বোলিং সামর্থ্যের সাক্ষর রেখেছেন আবারও, নিয়েছেন ১২ ম্যাচে সমান উইকেট।

১১ ম্যাচে ১২ উইকেট আছে কুমিল্লার পেসার আল-আমিন হোসেনেরও। রংপুরের পেসার তাসকিন আহমেদ, ঢাকার পাকিস্তানি স্পিন-অলরাউন্ডার শাদাব খান ও রংপুরের আফগান স্পিন-অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি ১১ উইকেট করে নিয়ে আসর শেষ করেছেন।

ইবাদতইমরুলবঙ্গবন্ধু বিপিএলবিপিএল-২০১৯মোস্তাফিজরানারুবেললিড স্পোর্টস