শিশুকে গণধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

খুলনার খালিশপুরে বাস্তুহারা কলোনীর শিশু আফসানা মিমি (১৪) কে গণধর্ষণের পর হত্যা মামলার রায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান আলোচিত এই গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: খালিশপুরের বাস্তুহারা কলোনীর বাবুল হাওলাদার ওরফে কালা বাবুল ও এমদাদ হোসেন।

তবে এ রায়ে আসামি আশা মিয়া, জাহাঙ্গীর আলী, জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ ও নজরুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর রাত ৭টার দিকে খালিশপুরের বাস্তুহারা কলোনীর বাসিন্দা মো. ইমাম হোসেনের ১৪ বছরের শিশু কন্যা আফসানা মিমি ২টাকা নিয়ে ঝাঁলমুড়ি কিনতে যায়।  কিন্তু অনেক সময় পরেও সে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে ইমাম হোসেন রাতেই খালিশপুর থানায় জিডি করেন।

পরের দিন দুপুর ৩টার দিকে মাদ্রাসার খাদেম কুদ্দুস আফসানা মিমির লাশ বাস্তুহারা দিঘিতে পেয়ে ইমাম হোসেনকে খবর দেন। এ ঘটনায় ইমাম হোসেন খালিশপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও ইমাম হোসেন এজহারে উল্লেখ করেন, এলাকার কালা বাবুল, কাদের ও এমদাদসহ অন্যান্যরা তার মেয়ে আফসানা মিমিকে উত্যক্ত করত।

২০১০ সালের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মোকাদ্দেশ আলি আদালতে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা জেলা সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম।

আফসানা মিমিগণধর্ষণমৃত্যুদণ্ডরাষ্ট্রপক্ষ