শিগগিরই আসছে বহুমুখী সহনশীল জাতের ধান

শিগগিরই বহুমুখী সহন ক্ষমতা সম্পন্ন ধানের নতুন জাত পাবেন কৃষক। আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট ইরির বিদায়ী মহাপরিচালক বব জেইলার জানিয়েছেন, আগামী বছর বাংলাদেশ এবং ভারতে পরীক্ষামূলকভাবে এই বীজ দেয়া হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এলাকাভেদে অতিরিক্ত খরা, বন্যা এবং লবানক্ততা সহ্য করে ফলন পাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই এই জাত দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি ।

ঝড়, বন্যা, খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিত্যসঙ্গী বাংলাদেশের। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নতুন আরেক উৎপাত যোগ হয়েছে লবনাক্ততা। দক্ষিণের উপকূলীয় জেলাগুলোতে নোনা পানির কারণে বিস্তীর্ন ফসলী জমি অনবাদী থাকছে বছরের পর বছর।

ওই এলাকায় লবনাক্ত সহিষ্ণু বীজ দিয়ে চাষের চেষ্টা চলছে ঠিকই, তবে সদা পরিবর্তনশীল জলবায়ুর প্রকোপ মোকাবেলায় তা যথেষ্ট নয়। আবার উত্তরাঞ্চলের কৃষক মার খেয়ে যাচ্ছেন খরা এবং হঠাৎ বন্যায় । এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেই ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনে গবেষণা ইরির।

ইরির বিদায়ী মহাপরিচালক বব জেইলার বলেন, বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করতে সক্ষম ধান উৎপাদনের চেষ্টা করেছি আমরা।

দেশি-বিদেশী সংস্থাগুলোর গবেষনার ফল মাঠের কৃষকের কাছে পৌছে দিতে সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের পরামর্শ ইরির মহাপরিচালকের ।

ইরির বিদায়ী মহাপরিচালক জানান, ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা বেশ সন্তোষজনক। অথচ ৮০’র দশকে দেখানো টিভি অনুষ্ঠানে এই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার কথা শোনা গিয়েছিলো। বাংলাদেশের কৃষকরা অস্বচ্ছল হলেও তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা অসাধারণ।

প্রায় ৪ দশক কৃষি উন্নয়ন ইস্যু নিয়ে কাজ করা উন্নয়ন কর্মী শাইখ সিরাজ ইরি মহাপরিচালককে অনুরোধ জানান উৎপাদনের সাথে পুষ্টির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়ার।

কৃষি উন্নয়নে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত, কিন্তু পুষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে না। ইরির উচিৎ পুষ্টির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে জাত উদ্ভাবন করা।

ইরির নিয়মিত প্রকাশনা রাইস টুডেতে বাংলাদেশের সমসাময়িক বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশের অনুরোধ জানান শাইখ সিরাজ। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথা বলেন তিনি।

ইরি