ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসরে শিখদের কাছে পবিত্রতম স্বর্ণ মন্দির অপবিত্র করার অভিযোগে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার প্রার্থনার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সংবাদগুলো জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের বরাতে বিবিসির অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ব্যক্তি মন্দিরে ভেতরে প্রবেশ করে যেখানে পবিত্র বই ‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’ রাখা হয়েছে। অভিযোগ করা হয়, বইটির পাশে রাখা মন্দিরের আনুষ্ঠানিক কাজে ব্যবহৃত তলোয়ার ধরার করবার চেষ্টা করেন। পরে মন্দিরের প্রহরী ও পূজারীদের বাধার মুখে পড়েন তিনি। সে সময় প্রার্থনা অনুষ্ঠানটি স্থানীয় টিভি চ্যানেলে সরাসরি প্রচারিত হচ্ছিলো। ওই সময় ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায়।
তবে পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ নিয়ে বিস্তারিত জানা যায় নি। পুলিশ ভাষ্যমতে, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পাঞ্জাবের মূখ্যমন্ত্রী চন্দ্রজিৎ সিং চান্নী একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, পুলিশকে এর পেছনের উদ্দেশ্য ও আসল ষড়যন্ত্রের বিষয়টি খুঁজে বের করতে আদেশ দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনার একদিন আগে আরেকজনের বিরুদ্ধে মন্দিরের জলাধারে শিখ ধর্মের আরেক পবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুটকা সাহিব ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগ রয়েছে।
‘গুরু গ্রন্থ সাহিব’ এর অবমাননা কিংবা অপবিত্রতা সম্প্রদায়টির কাছে অনেক বেশি আবেগপূর্ণ বিষয়।
এর আগে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছিল বলে জানায় বিবিসি। পরবর্তীতে ২০১৭ ও ২০১৯ সালে পাঞ্জাবের নির্বাচনে এ ঘটনাগুলো রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছিল।
রাজ্যটির ক্ষমতাসীন কংগ্রেস এ ঘটনাগুলোয় ন্যায় বিচার নিশ্চতে ব্যর্থ বলে অভিযোগ করে আসছে বিরোধীদলগুলো।
প্রদেশটির বিরোধীদলীয় সাংসদ বালেন্দর ভুন্ডর এনডিটিভিকে জানিয়েছে, এই ঘটনাগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল পাঞ্জাবকে দুর্বল করবার প্রচেষ্টা। কিছু লোক এটিকে গত ৫ বছর যাবত রাজনৈতিক খেলায় পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি