বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের চার্জশিটভুক্ত আসামিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারসহ শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি পূরণে দুই সপ্তাহ চেয়েছে বুয়েট প্রশাসন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সোমবার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। সেখানে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের দাবিগুলো বিবেচনা করার জন্য উপাচার্য প্রথমে তিন সপ্তাহ সময় চান। পরে সেখানে উপস্থিত ডিনরা দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেন।
দুপুরে উপাচার্যের সাথে আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলেন বুয়েটের আরবান এন্ড রিজিউনাল বিভাগের শিক্ষার্থী শীর্ষ সংশপ্তক।
তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের দেওয়া প্রস্তাব মেনে নিয়েছি। তারা যদি দুই সপ্তাহের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে পারেন তাহলে আমরা আসন্ন টার্ম পরীক্ষা দেব।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে তিনটি দাবি পূরণের শর্তে পরীক্ষা দেওয়ার কথা জানায় শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবিগুলো ছিলো- চার্শশিটভুক্ত আসামিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, আহসানুল্লাহ, তিতুমীর ও সোহরাওয়ার্দী হলের র্যাগের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি প্রদান এবং সাংগঠিক ছাত্ররাজনীতি ও র্যাগের বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিনেন্সে তা যুক্ত করা।
গত ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগের ছাত্র আবরার ফাহাদকে।