শব্দ-সুর ও দুপুর এর বাইরে তার কোন দুনিয়া নেই। ২০১১ সালে ‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়ে ভিন্ন স্বাদের কণ্ঠের আমেজ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের গানে। তারপর চলে গেছে অর্ধযুগ। মিলেছে জনপ্রিয়তা। খ্যাতির স্বাদও কম নয়। তারপরও নিরন্তর অতৃপ্তি নিয়ে লিখে চলেন তিনি। গান লেখেন। করেন সুর। গান না বলে তার লেখাকে গীতিকবিতা বললে অত্যুক্তি হবেনা।
তিনি দুহাতে লিখে চলেছেন। গীতিকবিতা, গল্প, উপন্যাস, কবিতা এবং ছড়া। লিখে চলেছেন ঝিনাই নদীর বাঁক। লিখে চলেছেন ফেলে আসা নবগ্রাম। লিখে চলেছেন কষ্টের জীবন। লিখে চলেছেন আনন্দ। আর লিখে চলেছেন জীবনলব্ধ সব ধরণের অভিজ্ঞতা।
ব্যক্তিজীবনের নানা ঘাত প্রতিঘাতও শব্দে ফুটিয়ে তুলছেন নিরন্তর। আর লিখে চলেছেন দুপুর। গড়ে তুলছেন দুপর। একমাত্র আত্মজা দুপুরকে নিয়ে সৃজনশীল এবং সৃষ্টিশীল ভষ্যিৎ নিয়ে এগিয়ে চলেছেন আপনমনে। তার ভাষ্য, দুপুর আর আমি একই শব্দ আর একই সুরে গাঁথা। দুপুরের মধ্য দিয়ে আমি বেঁচে থাকতে চাই আগামীর মাঝে। আমার শব্দ-সুরের ঝিনাই নদী বয়ে যাবে দুপুর হয়ে।
বছরের শুরুতে তার লেখায় আসিফ আকবরের কণ্ঠে উঠেছে ‘প্রথম দেখা’ গানটি। রিয়াদ হাসানের সুরে ও ডিজে রাহাতের সঙ্গীতায়োজনে ইতিমধ্যে সময় মাতিয়ে তুলেছে। এবার নিজের কণ্ঠে আর সুরের পসরা নিয়ে বছর জুড়ে বিরাজমান থাকার লক্ষ্য স্থির করেছেন। এ তালিকায় রয়েছে ৭টি গান। যার ১টি বাদে ৬টি নিজের লেখা। গানগুলো হল ‘বোবা পাখির গান’, ‘বলো না বিদায়’, ‘ মন হারানোর দেশ’, ‘চলো সবুজে’, ‘বাংলাদেশের দুপুর’ ও ‘বৃষ্টি ছেঁচা শাড়ি’। ‘খরচাপাতির গান’ শিরোনামে বাকী গানটি লিখেছেন তার ‘ঘুড়ি’র গীতিকার সোমেশ্বর অলি। সবগুলো গানের সঙ্গীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন।
এছাড়া অন্যদের লেখা-সুরে গান করা কিংবা নিজের লেখা-সুরে অন্যকে দিয়ে গান করানোতো চলবেই। এদিকে আসন্ন বইমেলায় আসছে তার উপন্যাস, গল্প, ছড়া এবং কবিতার বই। ‘লাল কাতানের দুঃখ (উপন্যাস), ‘ভালোবাসার উনুনঘর (গল্প), ‘ দুপুরপাখি ( ছড়া) এবং ‘ যে বছর তুমি আমি চাঁদে গিয়েছিলাম (কবিতা)। গান প্রকাশিত হওয়ার আগেই তার উপন্যাস বেরিয়েছিল ২০০৯ এর বইমেলায়। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৮।
এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত একক অ্যালবাম ৫টি। আর একক বের করবেন না। সিঙ্গেল বের করেই কাটবে সঙ্গীতের জীবন। প্রকাশিত একক অ্যালবামগুলো হল ‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো (২০১১০’। ২০১১, ‘আমার আকাশ পুরোটাই (২০১৩)’, ‘জোনাকীরা (২০১৪)’, ‘বন্ধু তোমার ছুটি মেলেনা (২০১৫)’ এবং ‘একলা লাগে খুব (২০১৭)’