দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৬৮১তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও দশজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৫৪ জন।
এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ছয় হাজার ৬৭৬ জন। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আগের দিন শনিবার শনাক্ত হয়েছিল পাঁচ হাজার ২২২ জন। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৭ জন।
এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো এবং গত ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩১ হাজার ৯৮০টি পরীক্ষায় ছয় হাজার ৬৭৬ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত দশজনের মধ্যে চারজন পুরুষ ও ছয়জন নারী। তাদের হাসপাতালে (সরকারি সাত, বেসরকারি তিন) মৃত্যু হয়েছে। তারা সহ মৃতের মোট সংখ্যা ২৮ হাজার ১৫৪ জন। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৩ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৯৯৮ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৬৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং ১০ হাজার ১৫৬ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ৩৬ দশমিক সাত শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত দশজনের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব দু’জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন, ষাটোর্ধ্ব তিনজন ও সত্তরঊর্ধ্ব চার’জন।আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে সাতজন, চট্টগ্রাম বিভাগে দু’জন ও বরিশাল বিভাগে একজন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৩২ কোটি ৮৯ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৫ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ২৬ কোটি ৭৮ লাখের বেশি।