ল্যাব টেস্টের রিপোর্ট বা ল্যাব এভিডেন্সের অভাবে মোবাইল কোর্টে মামলার পরও অনেক ভেজাল খাদ্য বিক্রেতা বা উৎপাদনকারির শাস্তি হচ্ছে না। আর পরীক্ষা করানোর সেই ল্যাবরেটরিও নেই খোদ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের। অন্য যেসব ল্যাবরেটরির আছে তার ওপর আস্থাও নেই তাদের। একেক ল্যাবে একেক রিপোর্টের অভিযোগ খাদ্য কর্তৃপক্ষের।
ভেজাল, নিন্মমান বা অনিরাপদ খাদ্যের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের অভিযান বেশ পুরানো। রোজার মাসে এ অভিযান আরো জোরদার হয়। এবছরও নানা সংস্থা অভিযান চালাচ্ছে। জেল-জরিমানাও হচ্ছে। তবে ভেজাল বন্ধ হয়নি। ২০১৩ সালে নিরপাদ খাদ্য আইনে এভিডেন্স বেইজড বা ল্যাব পরীক্ষা নির্ভর মামলার কথা বলা হলেও তা সম্ভব হচ্ছে না ল্যাব না থাকার কারণে।
মোবাইল কোর্টের অল্প সাজা এবং ল্যাবের প্রমাণের অভাবে খাদ্যে ভেজাল কমছে না বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক।
ভেজাল নিয়ে শংকিত অনেক সাধারণ মানুষও মনে করেন, আইনের সঠিক প্রয়োগের সঙ্গে ক্রেতাদের সচেতনতাও জরুরি।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকাতে একটি সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরিসহ প্রতি জেলায় নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: