‘ল্যান্ড মার্ক কেসে’ বোদির ৫ বছরের জেল

ক্রিকেট বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল সাউথ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক হ্যানসি ক্রনিয়ের ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারি। সেই ঘটনার পর প্রোটিয়া ক্রিকেটে আরেকটি কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়ে আলোচনায় গুলাম বোদি। স্পট-ফিক্সিংয়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায়, নতুন আইনে প্রথম প্রোটিয়া হিসেবে ৫ বছরের জেল হয়েছে বোদির।

ঘটনাটি ২০১৫ সালের। তখন সুপার স্পোর্টসের ধারাভাষ্যকার পরিচয়ের সুযোগ নেন। কীভাবে সহজে টাকা উপার্জন করা যায়, তা জানিয়ে সাবেক সতীর্থ-ক্রিকেটারদের ফুসলানোর চেষ্টা করেন বোদি।

২০০০ সালে ক্রনিয়ের ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পর দুর্নীতিরোধে ২০০৪ সালে বিশেষ একটি আইন করা হয়। ওই আইনের আওতায় প্রথম কাউকে শাস্তি দেয়া হল সাউথ আফ্রিকায়। তাই দেশটিতে এই ঘটনাটিকে বলা হচ্ছে ‘ল্যান্ড মার্ক কেস’।

মোট আটটি দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিজের দোষ স্বীকার করে নেন বোদি। জানিয়েছেন, এই শাস্তির বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন।

বিভিন্ন মিডিয়া সূত্রের খবর, প্রথমে একজন ভারতীয় বোদির কাছে স্পট-ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। তারপর নিজের পরিচিতির মাধ্যমে সতীর্থদের প্রস্তাব দেন। তাদের মধ্যে ছিলেন আরেক ক্রিকেটার আলভারো পিটারসেনও। ঘটনা তদন্তের পর নতুন আইনে ২০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় গুলাম বোদিকে। আর পিটারসেনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল একবছর। তিনি অবশ্য শাস্তি কাটিয়ে ফিরেছেন ক্রিকেট অঙ্গনে।

২০০৭ সালে সাউথ আফ্রিকার হয়ে দুটি ওয়ানডে, একটি টি-টুয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা আছে বোদির। ২০০২ সালেও ডাক পেয়েছিলেন জাতীয় দলে। কিন্তু চোটের কারণে দলের সঙ্গে সফর করা হয়নি। চায়নাম্যান বোলার হওয়ার সঙ্গে আগ্রাসী বাঁহাতি ব্যাটসম্যানও ছিলেন বোদি।

লিড স্পোর্টসসাউথ আফ্রিকা ক্রিকেট