লোকে লোকারণ্য শোলাকিয়ার ঈদ জামাত

ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে দেশের সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবছর এই ঈদগাহে ১৯১তম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১০টায়। এতে ইমামতি করেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ।

দুই বছর আগে ঈদুল ফিতরের নামাজ শুরুর আগে ঈদগাহের বাইরে জঙ্গি হামলার ঘটনাকে মাথায় রেখে এবছরও গ্রহণ করা হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ওই হামলায় দুইজন পুলিশ কনস্টেবল, এক গৃহবধূ ও এক জঙ্গি নিহত হন।

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের জামাত নির্বিঘ্ন করতে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয় পুরো এলাকা। র‌্যাব, এপিবিএন, বিজিবি ও জেলা পুলিশের সহস্রাধিক সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল।

ঈদের দিন মাঠের ভেতর-বাইরে সহস্রাধিক ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়। পুরো মাঠে ওপর থেকে নজরদারি করা হয়। আটটি ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে মুসল্লিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়। মাঠ ও এর আশপাশে পাঁচ প্লাটুন বিজিবি ও ২শ’ এপিবিএন মোতায়েনসহ বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী দায়িত্ব পালন করে।

৮২৮ সালে এ মাঠে প্রথম বড় জামাতে একসঙ্গে সোয়া লাখ মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেই সোয়া লাখ থেকে ঈদগাহ মাঠের নামকরণ হয় শোলাকিয়া।

এবছর এই জামাতে আনুমানিক তিন লাখ লোক নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

লিড নিউজশোলাকিয়ায়