বিঘায় ৮০ হাজার টাকা লাভের আরেক ফসল অমৌসুমী তরমুজ বা বেবি তরমুজ। অল্প জমিতে নিবিড় পরিচর্যায় ওই তরমুজের আবাদ ইতোমধ্যে ভাগ্য পাল্টে দিয়েছে চুয়াডাঙ্গার অনেক কৃষকের মাচায় শসা কিংবা লাউয়ের চেয়েও ঘনত্বে ঝুলে আছে অসংখ্য সুমিষ্ট, রসালো ফল তরমুজ। গত চার বছর এই এলাকার কৃষকের কাছে অমৌসুমী এই তরমুজ পাচ্ছে বিশেষ কদর। কেবলমাত্র শীত ছাড়া সারা বছরই দুই মাস মেয়াদে ঘরে তোলা যায় লাভজনক এই ফল।
তরমুজ চাষী মামুন আলী বলেন, আগের এ মৌসুমে জমিতে কপি চাষ করেছি, আর এখন তরমুজ চাষ করি। কারণ একবিঘা জমিতে কপি চাষ করলে আমার অায় হয় আশি হাজার টাকা, কিন্তু সেই জমিতে তরমুজ চাষ করলে আমার অায় আসে একলাখ বিশ বা ত্রিশ হাজার টাকা।
বাইরে থেকে ঘন কালচে-সবুজ রঙের ছোটখাটো আকারের এই তরমুজের নাম ব্ল্যাক বেবি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানাচ্ছে, দিনের পর দিন দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে এই জাতের তরমুজের আবাদ।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা তালহা জুবাইর মাসরুর বলেন, সাধারণত আমরা যেই তরমুজটা খেয়ে থাকি সেটা শেষ হওয়ার একমাস পরই এই তরমুজটি আসে। মূলত কৃষকরা রমজান মাসকে টার্গেট করে চাষ করলেও কৃষকরা শীতের আগ পর্যন্ত এ তরমুজ চাষ করে থাকে।
তিনি আরো বলেন, গত বছরের আমাদের প্রায় অাট’শ বিঘায় তরমুজ চাষ হয়েছে কিন্তু এবছর কৃষকরা পনের’শ বিঘায় তরমুজ চাষ করছে।
মৌসুমী তরমুজ আকারের হিসেবে বিক্রি হলেও অমৌসুমী এই তরমুজ বিক্রি হয় ওজনে। গাছে ঝুলেই ফলের ওজন বাড়ে, বাড়ে দাম।