লাবুশেনের পর স্টার্ক গোলায় কাবু কিউইরা

ব্যাট হাতে কাজটা আগেই কঠিন করে ফেলেছিলেন মার্নাস লাবুশেন। পরে বল হাতে রীতিমতো গোলা ছেড়েছেন মিচেল স্টার্ক। দুজনের চাপে পার্থের দিন-রাতের টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই কাবু নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার ৪১৬ রানের জবাবে ১০৯ তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসেছে কিউইরা।

স্বাগতিকদের ৪১৬ রানে অলআউট করার পর ব্যাট হাতে নেমেই বিপদে পড়ে কেন উইলিয়ামসনরা। স্কোর বোর্ড খাতা খুলতেই আউট হয়ে যান তাদের দুই ওপেনার। জস হ্যাজেলউডের বলে জিত রাভাল (১) বোল্ড হওয়ার পর স্টার্কের কট এন্ড বোল্ডের শিকার টম ল্যাথাম (০)।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

৭৬ রানের জুটিতে দল বাঁচানোর খুঁটি হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন উইলিয়ামসন ও রস টেলর। কিন্তু শেষ বেলায় স্টার্কের ছোবলে সব ওলট-পালট হয়ে যায়। ৩৪ রান করা উইয়িামসনের সঙ্গে অজি পেসার পরে ফেরার মার্ক নিকোলস (৭) ও নাইটওয়াচম্যাচ নিল ওয়াগানারকে (০)। দিনশেষে কিউইদের আশার নাম টেলর। হাফসেঞ্চুরি তুলে ৬৬ রানে অপরাজিত আছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। সঙ্গী বিজে ওয়াটলিং অবশ্য খাতা খুলতে পারেননি।

১১ ওভারে এক মেডেনসহ ৩১ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন স্টার্ক। তবে অস্ট্রেলিয়ার অস্বস্তি এক উইকেট নেয়া হ্যাজেলউডকে নিয়ে। ওই উইকেট নেয়ার পর চোটের কারণে আর বলই যে করতে পারেননি তিনি।

এর আগে ব্রিসবেন, অ্যাডিলেডের পর পার্থেও দেখা যায় একই ছবি। তিন ইনিংসে টানা তিন সেঞ্চুরি করে ফেলেন মার্নাস লাবুশেন। যার শেষ দুটো আবার গোলাপি টেস্টে। বৃহস্পতিবার ৪ উইকেটে ২৪৮ রানে দিন শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। ১১০ রানে অপরাজিত ছিলেন লাবুশেন। এদিন আরও ৩৩ রান যোগ করে ফেরেন তিনি। ১৮ চার ও এক ছক্কায় সাজানো তার ইনিংস।

আগের দিন ২০ রানে অপরাজিত থাকা ট্রাভিস হেড তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি (৫৬)। শেষদিকে ছোট চোট ইনিংসে স্কোর বড় করেন অধিনায়ক টিম পেইন (৩৯), প্যাট কামিন্স (২০) ও স্টার্ক (৩০)। শেষ পর্যন্ত ৪১৬ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন টিম সাউদি ও ওয়াগনার। রাভাল ও গ্র্যান্ডহোমে নেন একটি করে উইকেট।

টেস্ট ক্রিকেটে এই মুহূর্তে ‘ওয়ান্ডারবয়’ বলা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার লাবুশেনকে। চলতি বছরে যার উত্থান রীতিমতো অবাক করার মতো। আইসিসির ক্রমপর্যায় থেকে টেস্ট ক্রিকেটে পরপর সেঞ্চুরি- অজি ক্রিকেটে নতুন ‘স্মিথ টু’ নামে ডাকা হয় ২৫ বছরের ক্রিকেটারকে। স্মিথ আর লাবুশেনের পারফরম্যান্সে মিলও অনেক। তবে অ্যাশেজের পর ব্যাটে বড় রান নেই স্টিভ স্মিথের। লাবুশেন কিন্তু অ্যাশেজ থেকেই ধারাবাহিক।

ক্যারিয়ারে মাত্র ১২তম টেস্ট ম্যাচ খেলছেন লাবুশেন। সেই তিনিই কী আলোড়ন ফেলেছেন? ১৮তম ইনিংসে তৃতীয় সেঞ্চুরির পাশাপাশি এক হাজার রানও করে ফেলেছেন টেস্টে। চলতি বছরেই করেছেন ৯০০’র উপরে রান।

লাবুশেনলিড স্পোর্টসস্টার্ক