রাজধানীর গুলশান-২ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব-৩ কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
র্যাব-৩ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফি বুলবুল চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন: ওই অভিযানে তার কাছ থেকে ১টি অবৈধ অস্ত্র, গুলি ও ৪শ’ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গের কারণে আরও দু’টি অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
যে বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই ফ্ল্যাটের ম্যানেজার আরিফ হোসেন জানান: গত ৪ বছর আগে খালেদ মাহমুদ ফ্ল্যাটটি ক্রয় করেন। তিনি এখানে শ্বশুর-শাশুড়ি, স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ থাকতেন। আজ বিকেল তিনটার দিকে ডিবি পরিচয়ে সাদা পোশাকে চার-পাঁচজন বাসায় ঢোকেন। চারতলার এ-৩ ফ্লাটে যান তারা। এর প্রায় এক ঘণ্টা পরে পোশাকে র্যাব সদস্যরা বাসা ঘিরে ফেলেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফি বুলবুল বলেন: খালেদ মাহমুদের বাসায় তল্লাশি চালানোর সময় লোহার লকার থেকে ১০ লাখ টাকা ও ৫-৬ লাখ টাকার সমপরিমান ডলার, ১টি অবৈধ অস্ত্র, গুলি ও ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রাজধানীর মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকায় তার মালিকাধীন ‘ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুল’ ক্লাবের ক্যাসিনোতে র্যাব অভিযান চালায়। এসময় ক্যাসিনো থেকে ১৪২ জনকে আটকসহ বিপুল পরিমাণ টাকা জব্দ করেছে র্যাব।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এবং র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান শুরু করে র্যাব-৩।
অবৈধভাবে চালানো এই ক্যাসিনোর মালিক মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূইয়া।