টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা ডাকাত’ নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অজি উল্লাহ (৩০) নামের এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার বিকেল চারটায় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া পাহাড়ের পাদদেশে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও ৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত অজি উল্লাহ মিয়ানমারের মংডুর শহরে ইনসং গোদাপাড়ার (বর্তমানে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ই-ব্লক) বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও রোহিঙ্গা ডাকাত জকির আহমদের সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং তার ভাগিনা।

গ্রেপ্তার ডাকাতরা হলো: টেকনাফ মোছনী নয়াপাড়া ৯নং ওয়ার্ডের মৃত আবু তাহেরের ছেলে মো: খোরশেদ আলম (৩৯), টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নজির আহমদের ছেলে মো: সাইফুল ইসলাম (২০) ও টেকনাফ জাদিমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প নং- ২৭নং, ব্লক-বি/১১ এর বাসিন্দা আব্দুর রকিমের ছেলে মো: আমিন (২৫)।

এসময় ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনীর দুটি জ্যাকেট, র‌্যাবের পাঁচটি শাট, ২টি প্যান্ট, আরকান বিজিপির ৫টি শার্ট, ৩টি প্যান্ট, এলজি তিনটি, ৩৬ টি খোসা, তাজাগুলি ১০ রাউন্ড, একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি ৪টি, খোসা ১টি, একটি ম্যাগজিন ও ২২০০ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তি তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা ডাকাত।

বন্দুকযুদ্ধে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএম এস দোহা, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুদ্দিন ও কনস্টেবল খোকন মিয়া আহত হয়েছেন বলে দাবি করছে পুলিশ।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, ‘গোপন তথ্য ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া এলাকার পাহাড়ে একদল রোহিঙ্গা ডাকাত অবস্থান করছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএম এস দোহার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি বর্ষণ করে। এসময় পুলিশও কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে।

ওসি জানান, গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে ডাকাত ও সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে ওই স্থানে তল্লাশি করে ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনীর দুটি জ্যাকেট, র‌্যাবের পাঁচটি শাট, ২টি প্যান্ট, আরকান বিজিপির ৫টি শাট, ৩টি প্যান্ট, এলজি তিনটি, ৩৬ টি খোসা, তাজা গুলি ১০ রাউন্ড, একটি বিদেশি পিস্তল, গুলি ৪টি, খোসা ১টি, একটি ম্যাগজিন ও ২২০০ ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাইমা সিফাত বলেন, শুক্রবার বিকেলে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিসহ চারজনকে হাসপাতালে আনেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে তার শরীরে দু’টি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশের তিন সদস্যকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ আরও জানিয়েছেন, বিকেল সাড়ে পাঁচটায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বন্দুকযুদ্ধরোহিঙ্গা ডাকাত