রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব নাকচ মিয়ানমারের

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ‘সেইফ জোন’ বা নিরাপদ অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে মিয়ানমার। নতুন শর্ত আরোপ করলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ব্যর্থ হবে বলেও আশঙ্কা করছে দেশটি।

বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ীই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে মিয়ানমারের ইউনিয়ন মন্ত্রী কিয়াও তিন্ত সুয়ে অভিযোগ করেন, প্রত্যাবাসন কর্মসূচি বাস্তবায়ন রুখতে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে ধ্বংসাত্মক আন্দোলন চলছে এবং এ সম্পর্কে মিয়ানমার অবগত রয়েছে।

প্রত্যাবাসন নির্বিঘ্ন এবং নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও উদ্যোগের পাশাপাশি চুক্তির শর্তও কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

এর আগে জাতিসংঘের চলতি অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান না হওয়াকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, রোহিঙ্গা সমস্যা প্রলম্বিত হয়ে তৃতীয় বছরে পদার্পন করছে।

মিয়নামার সরকার এবং তাদের নিজস্ব নাগরিক রোহিঙ্গাদের মধ্যকার সমস্যার বোঝা বাংলাদেশ বহন করে বেড়াচ্ছে উল্লেখ করে এর সমাধান তাদেরই করতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, সুরক্ষিত ও সম্মানের সঙ্গে স্বেচ্ছায় রাখাইনে নিজ গৃহে ফিরে যাওয়াকেই সমাধান উল্লেখ করে জাতিসংঘের ৭২তম অধিবেশনের ৫ দফার সঙ্গে এবার আরও চারটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

মিয়ানমাররোহিঙ্গারোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন