রাজধানীর বাড্ডায় রেনু হত্যা মামলায় এলাকার তিন ব্যবসায়ীকে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। হত্যা ঘটনায় নিজেকে জড়িয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে অভিযুক্ত আরেক ব্যবসায়ী জাফর হোসেন। হত্যা ঘটনায় সরাসরি জড়িত আবুল কালাম আজাদ ও কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বাড্ডার একটি স্কুলের ভেতর নৃশংসভাবে তাসনিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যা ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়া এক যুবকের নাম হৃদয়। হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ ও গোয়েন্দারা যে ৮ জনকে শনাক্ত করেছে, তাদের মধ্যে ৪ জনকে আটক করলেও হৃদয় এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে গ্রেপ্তার হওয়া ৪ জনের কাছে হৃদয়ের অবস্থান সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছে পুলিশ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও দিয়েছেন তারা। বরগুনার গাবতলী হাওলাদার বাড়ীর শাহীন, ময়মনসিংহ ধোবাউড়ার বাচ্চু মিয়া ও উত্তর বাড্ডা কাঁচা বাজারের মুদি দোকান কর্মচারী বাপ্পীকে দুপুরে হাজির করা হয় ঢাকার সিএমএম আদালতে।
তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার সাব ইন্সপেক্টর সোহরাব হোসেন আদালতকে জানান: এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত হৃদয়সহ হত্যার পেছনে কার কী ভূমিকা আছে খুঁজে বের করতে এই তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ দরকার। রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনে মুক্তি চান অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন আদালত।
আসামীদের আইনজীবীরা আদালতে এমন বক্তব্য দিলেও রেনুকে পিটিয়ে হত্যার ভিডিও ফুটেজে আছে বাপ্পী, শাহীন ও বাচ্চুর সক্রিয় উপস্থিতি। শাহীন, বাচ্চুও হৃদয়সহ নিজেও ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা জানিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে আরেক অভিযুক্ত জাফর হোসেন। সকালে তাকে আনা হয় ঢাকার সিএমএম আদালতে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় নিজের ভূমিকাসহ জড়িত অন্যদের নাম জানিয়ে জবানবন্দী দেয় জাফর। দীর্ঘ সময় ধরে দেয়া ওই জবানী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করেন ম্যাজিস্ট্রেট। পরে জাফরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। কড়া পাহারায় অন্যদের নেয়া হয় বাড্ডা থানায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেয়া হৃদয়কে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
গোয়েন্দারা জানিয়েছে, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে বারবার নিজের অবস্থান বদল করছে হৃদয়।