রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করে বলেছেন: বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালায় মেধার কোনো বালাই নেই। উপাচার্য তার মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে আবেদন যোগ্যতা শিথিল করেছেন।
বৃহস্পতিবার শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনের সমনে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন: যেসব শিক্ষক এসব অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাদের বিভিন্নভাবে নাজেহাল করা হচ্ছে। এতে আমরা পিছপা হব না, বরং আন্দোলন আরো কঠোর হবে। এছাড়া রাবিতে বিদ্যমান নীতিমালায় আর কেউ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলে উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে বলে ঘোষণা দেন তারা।
এসময় ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে অযোগ্য একজনকে রাখা হয়েছে। তার মাধ্যমে উপাচার্য তার উদ্দেশ্য হাসিল করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কি যোগ্য লোকের অভাব, যে অযোগ্যকে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখতে হবে?
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এক্রাম উল্যাহ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজা প্রমুখ।
অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন রাবির অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন খান। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানান। পরে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী তার সঙ্গে যোগ দেন।
এ বিষয়ে ফরিদ উদ্দিন বলেন: শিক্ষাক্ষেত্রে যে দুর্নীতি শুরু হয়েছে তাতে আমরা শিক্ষক হিসেবে লজ্জিত। শিক্ষক হিসেবে আজ আমাদের কোনো মর্যাদা নেই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গন চাই।