রাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ‘বিপজ্জনক এলাকা’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের দ্বিতীয় তলার ছাদের একাংশ ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সেখানে ইট-রড সিমেন্টের বদলে দেওয়া আছে কাঠের পাটাতন। ওই অংশে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ।

লাল ফিতা দিয়ে ঘিরে টাঙানো হয়েছে সতর্কতামুলক পোস্টার ‘সাবধান বিপজ্জনক এলাকা’। কর্তৃপক্ষের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়: গ্রন্থাগারের দ্বিতীয় তলা দীর্ঘদিন ধরে পাঠকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু পূর্বপাশের সিঁড়ি ভেঙে কাঠের পাটাতন দেয়া হয়েছে অনেক আগেই। সম্প্রতি কাঠের পাটাতনগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় সে জায়গাটিকে বিপজ্জনক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। লাল ফিতা দিয়ে জায়গাটুুকু ঘিরে দেওয়া হয়েছে। ফিতায় ‘সাবধান বিপদজ্জনক এলাকা’ সম্বলিত পোস্টারও লাগিয়েছে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এর নিচতলায় রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়, একটি স্টোর রুম ও বারান্দা। যেখানে সারাদিন শিক্ষার্থীদের চলাচল থাকে।

ইট-রড সিমেন্টের বদলে কাঠের পাটাতন ব্যবহার করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বড় ধরনের দুর্ঘটনারও আশঙ্কা করছেন তারা। তাই অবিলম্বে এটি সংস্কারের দাবি তাদের।

আব্দুল হাকিম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন: ‘নিয়মিত গ্রন্থাগারে পড়তে আসি। পোস্টার দেখে বুঝতে পারলাম এটি বিপজ্জনক জায়গা। পোস্টার লাগানোর আগে তো যে কোনো দুর্ঘটনাই ঘটতে পারতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকার অভাব নেই কিন্তু কি জন্য সেখানে কাঠের পাটাতন ব্যবহার করা হয়েছে তা বুঝতে পারলাম না।’

ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে.পি রায় নামের এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার নামক ফেসবুক পেইজে গ্রন্থাগারের ছবি আপলোড করে লিখেছেন: ‘বাজেট তো অপ্রতুল নয় তবে কেনো বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট?’

এ বিষয়ে গ্রন্থাগার প্রশাসক অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র শীল বলেন: ‘ঈদের ছুটির কিছুদিন আগে আমাদের নজরে আসে ওই জায়গাটুকু ব্যবহারের অনুপযোগী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ছাদ মেরামতের জন্য লিখিত চিঠি দিয়েছি। দুর্ঘটনা এড়াতে ওই জায়গায় লাল ফিতা লাগিয়ে পোস্টার টাঙানো হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন: ‘গ্রন্থাগারের ছাদ মেরামতের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’ তবে সিঁড়ি ভাঙার পর ইট-রড না দিয়ে কাঠের পাটাতন দেয়ার কারণ জানতে চাইলে এই বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়াকে মুঠোফোনে কল করে পাওয়া যায়নি।

কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগাররাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়