যে কারণে বাংলাদেশের দর্শক এত কম

বার্মিংহাম থেকে: পঁচিশ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার গ্যালারি পূর্ণ কানায় কানায়। যার প্রায় আশি ভাগই ভারতীয় সমর্থক। নীলের মাঝে লাল-সবুজ চোখে পড়ছে কমই। বাংলাদেশের অন্য ম্যাচে গ্যালারিতে সমর্থকদের ঢেউ দেখা গেলেও এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারতের বিপক্ষে একদমই বিপরীত চিত্র।

আসলে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচ টিকিট। যেটি সংগ্রহে সবসময়ই অগ্রগামী ভারতের দর্শকরা। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু আর শেষের মধ্যে পার্থক্য ছিল কয়েক মিনিটের। ভারতীয়রা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় টিকিট প্রাপ্তির অনুপাত হয়ে যায় ৮:২। মাঠেও প্রতিফলিত হচ্ছে সেটি।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

ইংল্যান্ডে বসবাসরত প্রবাসী ভারতীয়র সংখ্যা বাংলাদেশিদের চেয়ে অনেক বেশি। জনসংখ্যা তো পার্থক্য গড়ছেই, সেইসঙ্গে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টিকিটের জন্য অপেক্ষা করতে গিয়ে শেষঅবধি মাঠেই যাওয়া হচ্ছে না করও কারও। এজবাস্টনে খেলা দেখতে এসে ভারতীয়দের জোয়ার দেখে হোসেন নামের এক টাইগার সমর্থক আক্ষেপ করে বলছিলেন, ভারতীয় দর্শকদের মতো আমরা আগে থেকেই নিশ্চিত করি না যে খেলা দেখব। হুট করে সিদ্ধান্ত নেই, যে কারণে আমরা পিছিয়ে পড়ি। শেষে এসে আমাদের হুশ হয়।

বার্মিংহামে পা রেখেই এই ধারণা হয়েছে। ম্যাচের ৩-৪ দিন আগে এখানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে দেখা গেছে টিকিটের জন্য দৌড়ঝাঁপ। যদি কোনো ভারতীয় সমর্থক বেশি দামে টিকিট বিক্রি করেন, তবেই কেবল সেটি কিনে খেলা দেখা সম্ভব। কজনই-বা তা পাউন্ডের লোভে বিক্রি করেছেন! গ্যালারির দিকে তাকালেই সেটা বোঝাও যাচ্ছে।

বিশ্বকাপ শুরুর আগে আইসিসির মাধ্যমে বিসিবি ২ কোটি টাকার টিকিট কিনেছিল বাংলাদেশের ম্যাচগুলোর জন্য। খেলোয়াড়, সাবেক খেলোয়াড়, বোর্ড কর্মকর্তারা পেয়ে থাকেন সেগুলো। সাধারণ দর্শকদের সেটি পাওয়ার সুযোগ নেই।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বোর্ড কর্মকর্তা, ক্রিকেটারদের শুনতে হয়েছে ইংল্যান্ডে থাকা বাংলাদেশিদের টিকিটের আবদার। সবার প্রত্যাশা মেটাতে না পেরে বিসিবির এক পরিচালক সেদিন বলছিলেন, আইসিসির উচিত দুই দেশের সমর্থকদের জন্য টিকিট সমান হারে বণ্টন করা।

আইসিসিবাংলাদেশ-ভারতবিশ্বকাপ-২০১৯বিশ্বকাপে বাংলাদেশবিসিবি