যুবলীগের কংগ্রেস উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

সকাল ১১.০৬ টায়ে প্রধানমন্ত্রী সম্মেলন স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় একদল শিল্পী জাতীয় সংগীত উপস্থাপন করেন। ১১.১০ এ প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের এবারের কংগ্রেস উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এবারের যুবলীগের মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে পদ্মা সেতুর আদলে।

যুবলীগের এবারের কংগ্রেসে সারাদেশ থেকে প্রায় ৩০ হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেট সম্মেলন স্থলে উপস্থিত হয়েছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কংগ্রেসর প্রথম পর্ব শেষে দ্বিতীয় পর্বের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে
ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে। সেখান থেকেই আসবে নতুন নেতৃত্বের ঘোষণা।

এবার এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুবলীগের সম্মেলন। ক্যাসিনো, মাদক, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিসহ নানা অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির অনেককে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেও রয়েছেন।

সংগঠনটির চেয়ারম্যানকেও এসব অনৈতিক কাজে সমর্থনের জন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাই এবারের নির্বাচিত নতুন নেতৃত্বের জন্য সংগঠনটির ইমেজ সংকট দূর করা হবে বাড়তি চ্যালেঞ্জ।

এর আগে, গত ২০ অক্টোবর যুবলীগের একটি প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাতের আগে ওই প্রতিনিধি দলে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীসহ যুবলীগের কয়েকজন নেতাকে না রাখার জন্য গণভবন থেকে আগেই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে বিতর্কিত অন্যদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলেও ওমর ফারুককে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

একই সঙ্গে, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদকে সদস্য সচিব করে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাযুবলীগযুবলীগের কংগ্রেস