যমুনা নদীকে ছোট করার প্রকল্পের সকল নথি চাইলেন হাইকোর্ট

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক পানি প্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনা নদীকে ছোট করার জন্য যে প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে, তার সকল নথি চেয়েছেন হাইকোর্ট।

‘যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা’ শিরোনাম দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে জনস্বার্থে এইচআরপিবি’র করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন।

আগামী ১০ দিনের মধ্যে প্রকল্প প্রণয়য়ের বিস্তারিত নথি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে হাইকোর্টে দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরশেদ।

গত ১২ মার্চ পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘যমুনা নদী প্রতি বছর বড় হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার সময় নদীটি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হয়ে যায়। এত বড় নদীর প্রয়োজন নেই। তাই এটির প্রশস্ততা সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংকুচিত করা হবে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাকৃতিক পানি প্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনাকে ছোট করার এমন আইডিয়া এসেছে খোদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের মাথা থেকে। এজন্য তারা ১১শ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও প্রণয়ন করেছেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ১০৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৮৯৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আর বাংলাদেশ সরকার দেবে ২১৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরা হয়েছে চলতি বছর থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা বিরল এ প্রকল্পকে অবাস্তব বলছেন।’

যমুনাহাইকোর্ট