সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়া হুজি নেতা মুফতি হান্নান, তার সহযোগী জঙ্গি শরীফ সাহেদুল বিপুল এবং দেলোয়ার হোসেন রিপনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
তাদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
মুফতি হান্নানের দাফন হয় তার গ্রামের বাড়ি গোপলগঞ্জে।
বুধবার রাত ১০টায় রিপনের ফাঁসি কার্যকর হয়। এরপর রাত ১০টা ৪০ মিনিটে কারাগার থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রিপনের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের উদ্দেশে রওয়ানা দেয় কারা কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে রাত ১২টায় কাশিমপুর কারাগার থেকে মুফতি হান্নানের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে এবং বিপুলের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর কড়া পাহারায় নিয়ে যায় পুলিশ।
রিপনের ভাই শিপন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাহারায় লাশ নিয়ে যান তাদের গ্রামের বাড়িতে। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় রিপনের পরিবারের লোকজন অংশ নেন।
দাফনের সময় মৌলভীবাজার জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জঙ্গি শরীফ সাহেদুল বিপুলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে পুলিশের উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থানে বিপুলকে দাফন করা হয়।
তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মৈশাদী ইউনিয়নের পাটওয়ারী বাড়িতে দাফন করা হয়। এ সময় মরদেহ গ্রহণ করেন বিপুলের বাবা হেমায়েত উদ্দিন পাটওয়ারী। জানাজায় অংশ নেন আত্মীয়স্বজন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
২০০৪ সালে সিলেটে তৎকালীন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলার দায়ে তিনজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল ফাঁসি হয় কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে। দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি কার্যকর হয় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে।
আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন কারাফটকের সামনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, রাত ১০টায় কাশিমপুর ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে একই সময়ে তিন জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।