মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনীর অপারেশন শুরু হয় একাত্তরের মধ্য আগস্টে। এর আগে ৩০ মার্চ ফ্রান্সের তুলন নৌঘাঁটির প্রশিক্ষণ ছেড়ে যান পাকিস্তান নৌবাহিনীর ৯ জন বাঙালি সাবমেরিনার। অনেক বিপদ মাথায় নিয়ে তারা ভারতে পৌঁছে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেন।
জুলাইয়ে সেক্টর কমান্ডারদের কনফারেন্সের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
১৯৭১ সালের মার্চে ফ্রান্সের তুলন নৌঘাঁটিতে প্রশিক্ষণে ছিলেন পাকিস্তান নৌ বাহিনীর ৪০ জন সাবমেরিনার। তাদের মধ্যে ১৩ জন ছিলেন বাঙালি। স্বাধীনতা ঘোষণার পর মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন ৯ জন। পরে তাদের ৮ জন পৌঁছান ভারতে।
ওই সাহসীজনদের একজন বদিউল আলম বীরউত্তম। তিনি জানান, ভারতে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের নৌ কমান্ডো প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেন পালিয়ে আসা সাবমেরিনাররা।
ওই প্রশিক্ষণ দলে ছিলেন নৌ কমান্ডো ফজলুল কবীর। বাংলাদেশে এসে নৌ কমান্ডোদের সবচেয়ে বড় অভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট’-এ অংশ নেন ৮ সাবমেরিনারের নেতৃত্বে নৌ কমান্ডোরা।
পরাগ আজিমের ভিডিও প্রতিবেদনে দেখুন বিস্তারিত: