দর্শক নেই, উল্লাস নেই- একপ্রকার নিরুত্তাপ আবহ। এমন ম্যাচে ঝড় তুলে উত্তাপ ছড়িয়েছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। তাতে ১৬২ রান তোলে সিলেট থান্ডার। জবাবে হোঁচটে শুরু করা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ম্যাচে ফেরান ইমরুল কায়েস ও চ্যাডউইক ওয়ালটন। এক ওভার অক্ষত রেখেই তারা এনে দিয়েছেন ৫ উইকেটের জয়।
বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সিলেট থান্ডার ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। হেসেখেলেই জয় পেয়েছে রায়ান এমরিটের চট্টগ্রাম।
প্রথমে ব্যাট করা সিলেট দ্বিতীয় ওভারেই হারায় রনি তালুকদারের উইকেট। ৮ বলে ৫ রান করে আউট হয়েছেন এ ওপেনার। জনসন চার্লসকে নিয়ে ৪৬ রান তুলে ধাক্কা সামলান মিঠুন। এই রানে মাঝে ৩৫ একাই তুলেছেন চার্লস। ২৩ বলের মধ্যে ৭বার বল গড়িয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করার পর নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হন ক্যারিবীয় ওপেনার।
জনসন আউট হওয়ার পর মাত্র ৪ রান করে আউট হন জীবন মেন্ডিস। পরে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে ৯৬ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন মিঠুন। বড় জুটিতে মোসাদ্দেকের অবদান সবে ২৯।
মাত্র ৪৮ বল খেলেছেন মিঠুন। ৪ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৮৪ রান তুলে। তাতে ভর করে ৪ উইকেটে ১৬২ রান তোলে সিলেট।
ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত হোঁচট খেয়েছে চট্টগ্রাম। ৬৪ রানেই হারায় আভিস্কা ফার্নান্দো, জুনায়েদ সিদ্দিকী, নাসির হোসেন ও রায়ান বার্লের উইকেট।
হার দেখতে থাকা চট্টগ্রামকে নাটকীয়ভাবে ম্যাচে ফেরান ইমরুল কায়েস ও চ্যাডউইক ওয়ালটন। দুজনের ৮৬ রানের জুটিতে হারতে থাকা ম্যাচে জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।
৩৭ বলে ৫ ছক্কা ও ২ চারে ৬১ রান করে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন ইমরুল সাজঘরের পথে, দল তখন জয় থেকে মাত্র ১৩ রান দূরে। সেখানে ২৯ বলে ৪৮ রান তুলে এক ওভার বাকি থাকতেই চট্টগ্রামকে জয় এনে দেন ওয়ালটন।