মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি ছাপিয়ে নায়ক ইমতিয়াজ

নাঈমের আরেকদফা স্পিন তোপের পরও চট্টগ্রামের ড্র

প্রথম ইনিংসে ৬৩, দ্বিতীয় ইনিংসে ১১১। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ডাবল লড়াই ঢাকা মেট্রোকে শেষদিন পর্যন্ত ম্যাচে রাখলেও পরাজয় এড়ানোর জন্য যথেষ্ট হয়নি। ইমতিয়াজ হোসেনের অপরাজিত ১১০ রান মেট্রোর বিপক্ষে সিলেটকে এনে দিয়েছে ৮ উইকেটের দারুণ এক জয়।

বগুড়ায় জাতীয় লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে টায়ার-২ এর ম্যাচটিতে প্রথম ইনিংসে ২৪৬ তুলেছিল ঢাকা মেট্রো। সিলেট বিভাগ প্রথম ইনিংসে ৩১৯ তুলে ৭৩ রানে লিড নেয়।

দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে মেট্রো। মাহমুদউল্লাহ ত্রাতার ভূমিকায় লড়াই জমিয়ে দেন। ৬ উইকেটে ২২৫ তুলে তৃতীয় দিন শেষ করে দলটি। ৪ উইকেট হাতে রেখে বরিশালের চেয়ে ১৫২ রানে এগিয়ে থেকে।

লিড আরও বড় করার আশা দিচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ, ছিলেন ৯৫ রানে অপরাজিত। রোববার দ্রুতই তুলে নেন শতক। কিন্তু ৬ চার ও এক ছয়ে ২৪৩ বলে তিনি ১১১ করে ফেরার পর বেশিদূর এগোয়নি মেট্রোর ইনিংস।

তাতে ২৭৩ রানে অলআউট হয়ে যায় মেট্রো। সিলেটের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০০ রানের। যা ২ উইকেট হারিয়ে ৫২.২ ওভারে তুলে নেয় সিলেট বিভাগ। অপরাজিত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ইমতিয়াজ হোসেন তান্না নায়ক বনে যান, জাকির হাসান করেন ফিফটি।

ইমতিয়াজ ও জাকির ১৬২ রান যোগ করেছেন জুটিতে। শেষপর্যন্ত ১১ চার ও এক ছক্কার ইনিংস সাজিয়ে ১৭৮ বলে ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন ইমতিয়াজ। জাকির হাসান দলকে জয়ের দোরগোড়ায় রেখে ফিরে যান ৭২ করে।

ফতুল্লায় টায়ার-২ এর অন্য ম্যাচে, ড্র করেছে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগ। চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে ৩৫৬ রান তুলেছিল। বরিশাল বিভাগকে পরে ২১৬ রানে অলআউট করে ১৪০ রানের বড় লিড নেয় তারা।

শেষদিনে চট্টগ্রাম বিভাগ ৬ উইকেটে ১৯৫ করে ইনিংস ছাড়ে। বন্দরনগরীর দলটি বরিশালকে দেয় ৩৩৫ রানের লক্ষ্য। কিন্তু প্রতিপক্ষকে অলআউট করার পর্যাপ্ত সময় পায়নি তারা।

শাহরিয়ার নাফিস ৪২, মোহাম্মদ আশরাফুল ৬০, মোসাদ্দেক হোসেনের ৩৫ রানে ম্যাচ বাঁচিয়ে ফেলে বরিশাল। তারা ৭ উইকেটে ১৭৪ তোলার পর ম্যাচে ড্র মানতে হয় চট্টগ্রামকে।

প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেয়া নাঈম হাসানের দ্বিতীয় ইনিংসেও শিকার সমান উইকেট। নোমান চৌধুরী ২টি ও মাসুদ খান একটি করে উইকেট নিলেও তা চট্টগ্রামের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

ইমতিয়াজএনসিএল-২০১৯জাতীয় ক্রিকেট লিগমাহমুদউল্লাহলিড স্পোর্টস