প্রথম ম্যাচে হারের পর খানিকটা অজুহাত দাঁড় করালেও দ্বিতীয় ম্যাচের পর তেমনকিছু বলেননি বাংলাদেশ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। নেপিয়ার ম্যাচের পর অনুশীলন ম্যাচের ঘাটতির কথা বলেছিলেন। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে একইভাবে হারের পর ব্যাট হাতে বড় পুঁজি না পাওয়ার আক্ষেপ করেছেন টাইগার অধিনায়ক। সঙ্গে বোলারদের পারফরম্যান্সেও ইতিবাচক তেমন কিছু খুঁজে পাননি ম্যাশ।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিজেদের করে নিয়েছে কিউইরা। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ৮ উইকেটের ব্যবধানে জয় পায় স্বাগতিকরা।
ম্যাচের আগে বৃষ্টি হয়েছে। পরে ক্রাইস্টাচার্চের মেঘে ঢাকা আকাশের নিচে বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন নিউজিল্যান্ড বোলাররা। বোল্ট-ফার্গুসন-নিশামদের সামনে ক্রিজে জমতে পারেননি তামিম-লিটন-সৌম্য-মুশফিকরা। বড় কোনো জুটি গড়তে না পারায় বাংলাদেশের স্কোরও বড় হয়নি।
সেই প্রসঙ্গ টেনে ম্যাচ শেষে মাশরাফী বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই কঠিন একটা দিন ছিল। আমরা শুরুতেই উইকেট হারিয়েছি। পার্টনাশিপগুলো দুষ্টিকটুভাবে ৩০ ঘরেই আটকে ছিল। সেটা ৬০ ঘরে গেলে ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারত। আমাদের টপ অর্ডার শক্তভাবে দাঁড়াতে পারেনি, শুধু মিথুন বেশ ভালো খেলেছে। আর বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজুর ভালো করেছে।’
মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় নিউজিল্যান্ড বোলাররা যেখানে আগুন ঝরিয়েছেন, সেখানে বাংলাদেশ বোলারদের চিত্র প্রায় পুরোটাই উল্টো। স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের তেমন কোনো পরীক্ষাতেই ফেলতে পারেননি মোস্তাফিজ ছাড়া দলের অন্য কোনো বোলার।
ফিজ ছাড়া সবারই ইকোনোমি ছিল ছয়ের উপরে। কারো কারো সেটা ৮/৯ ছাড়িয়ে গেছে। ব্যাটিং ব্যর্থতার সঙ্গে ধারহীন বোলিংয়ে নূন্যতম লড়াই করতে পারছে না দল। সিরিজ হারের হতাশার সঙ্গে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কা নিয়ে বাংলাদেশকে যেতে হচ্ছে ডানেডিনে। সেখানেই হবে সিরিজে তৃতীয় তথা শেষ ওয়ানডে।
কোনো বিভাগেই নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচে শেষে সেটা অকপটে স্বীকার করেছেন মাশরাফী, ‘এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক তেমন কিছুই আসেনি। আমাদের একটি গ্রুপ হয়ে খেলা দরকার ছিল, আমার ২২০-২৩০ রান করছি। কিন্তু আমাদের দরকার ২৭০-২৮০ রান, তাহলে আমরা লড়াই করতে পারতাম।’
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দাপুটে জয় পাওয়ার পর সতীর্থদের প্রশংসা করেছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আলাদা করে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি পাওয়া মার্টিন গাপটিলকে।