মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খুঁটিনাটি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে ৪ নভেম্বর। তবে এর আগে প্রধান দুই দল ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা তাদের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চালাচ্ছেন। প্রাইমারি বা ককাসে জিতলেই হবে না, পার্টি কনভেনশনে ডেলিগেটদের ভোট যেদিকে বেশি থাকবে তিনিই হবেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী।

হিলারি-স্যান্ডার্স আর ট্রাম্প-ক্রুজের লড়াইয়ের পরেই আসবে আসল লড়াই, ডেমোক্র্যাট আর রিপাবলিকানদের মধ্যে, সেদিকেই চোখ থাকবে দুনিয়ার ৭শ’ কোটি মানুষের।

বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ভিন্ন ধরণের। শক্তিশালী দেশ বলেই নয়, এর স্বকীয় নির্বাচন পদ্ধতিও নির্বাচনকে ভিন্নতা দিয়েছে। নভেম্বরে নির্বাচন হলেও প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলে প্রায় ১ বছর ধরে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের এই প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়াকে বলে প্রাইমারি বা ককাস।

মার্কিন নির্বাচনে ভোটাররা সরাসরি ভোট দেয়ার পরিবর্তে ডেলিগেট নির্বাচন করেন। কোন রাজ্যে কতজন ডেলিগেট থাকবেন তা নির্ধারণ করা হয় দল থেকে। দুই দলের ডেলিগেট সংখ্যাও ভিন্ন হয়। এই ডেলিগেটদের মধ্যে থাকেন সুপার ডেলিগেট, যাদের পরিচয় মূলত দল থেকে দেয়া হয় না। সাবেক নির্বাচিত প্রতিনিধি ও দলের নেতারাই এর মধ্যে থাকেন। এরাই দলীয় সম্মেলনে প্রার্থী বাছাইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

প্রাথমিক পদক্ষেপ শেষ হওয়ার পরে দলীয় সম্মেলন শুরু হয়। ওহাইয়োতে রিপাবলিকানদের আর ফিলাডেলফিয়ায় ডেমোক্র্যাটদের ৪ দিনব্যাপী এই দলীয় কনভেশনেই নির্ধারিত হবে কে কোন দলের হয়ে লড়ছেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির প্রেসিডেন্ট হবার জন্য।

সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে হয় প্রেসিডেন্ট পদে দুই দলের প্রার্থীদের বিতর্ক। এই বিতর্ক পরিচালিত হয় স্বাধীন কমিশনের মাধ্যমে।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইলেকটোরাল কলেজের ভোটের মাধ্যমে। ভোটাররা নিজের পছন্দের প্রার্থীর জন্য ভোট দেয়ার সময় ইলেকটোরাল প্রতিনিধির জন্যও ভোট দেন। আমেরিকার প্রতি রাজ্যে দু’জন সিনেটর থাকেন, প্রতি রাজ্যে ডিসট্রিক্ট সংখ্যা আর সিনেটর মিলেই সেখানকার ইলেকটর নির্ধারিত হন। ইলেকটরের সংখ্যা ৫৩৮ জন।

দুই দলের মনোনীত দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন এককভাবে সবক’টি রাজ্যের ইলেকটোরাল কলেজের ২৭০ ইলেকটোরাল ভোট পেলেই তিনি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন। সিনেটের সভাপতির তদারকিতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাইমারি শেষ হওয়ার কথা ১৪ জুন, আগস্টের মধ্যে হবে দলীয় সম্মেলন। তারপরই জানা যাবে হিলারি, ট্রাম্প, স্যান্ডার্স আর ক্রুজের মধ্যে কে কে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউজ দখলের লড়াইয়ে।

মার্কিন নির্বাচন