মাকে চিঠি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’

নোমান লিখেছিলেন, ‘আত্মহত্যা কখনও সমাধান হতে পারে না’

আসাদুজ্জামান বাবুল: গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ২য় বর্ষের আব্দুল্লাহ আল নোমান নামের এক শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’র ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার দিবাগত রাতে গোপালগঞ্জ শহরের চরসোনাকুড় এলাকার একটি মেস থেকে আব্দুল্লাহ আল নোমানের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নোমানের মেসের রুম থেকে তার  আত্মহত্যা সংক্রন্ত একটি চিঠি উদ্ধার করে পুলিশ।

সেখানে লেখা ছিল: আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমার একটি মারাত্মক রোগ ছিলো। যে রোগের যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে আমি আত্মহত্যা করেছি।

ওই চিঠিতে নোমান তার মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে ছোট বোনের দিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন। বন্ধুদের অনুরোধ করেছেন, তার ড্রেসগুলো যেন কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দেয়; আর মালামালগুলো যেন বিক্রি করে দেয়।

নোমানের বন্ধুরা জানান: নোমান মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিল। বেশ কয়েকবার চিকিৎসাও করানো হয়েছে। তবে গতকাল তার আচরণ স্বাভাবিক ছিল। ২ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের আত্মহত্যার পর ফেসবুকের এক স্ট্যাটাসে নোমান লিখেছিলেন, আত্মহত্যা কখনও সমাধান হতে পারে না। নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারাটাই জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা। মৃত্যু তো নাকের ডগায়। সবকিছুর পরেও বলতে হয়, জীবনটা সুন্দর, প্রচুর পরিমাণে সুন্দর।’ কিন্তু মাস না পেরোতেই সেই শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি আমাদের জন্য দুঃখজনক।

মেসের অন্য ছাত্ররা জানিয়েছেন: তারা আব্দুল্লাহ আল নোমানের রুমের সামনে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করে। কিন্তু কোনো ধরণের সাড়া না পেয়ে তারা রুমের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান: চরসোনাকুড় এলাকার একটি মেস থেকে বশেমুরবিপ্রবি’র শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টির সত্যতা প্রমাণের জন্য তদন্ত কাজ চলমান রয়েছে।

আব্দুল্লাহ আল নোমানবিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী