চাল ও ভোজ্যতেলসহ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে। এরমধ্যে রমজানকে ঘিরে আরও চড়া হচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজার। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করা সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবিও ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বাড়ালো।
এর ফলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে টিসিবি থেকে ন্যায্য মূল্যে পণ্য কিনতে গেলে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলে অতিরিক্ত ১০ টাকা ও প্রতিকেজি চিনিতে অতিরিক্ত ৫ টাকা গুণতে হবে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
তবে টিসিবি বলছে: এটা ঠিক দাম বাড়ানো নয়, বাজার মূল্যের সাথে টিসিবির পণ্যের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে প্রতি লিটার তেল ১০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ এবং ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করবে টিসিবি।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে- এই কথাটি ঠিক নয়। বাজারের মূল্যের সঙ্গে তেল ও চিনির দাম সমন্বয় করা হয়েছে। মাঝে-মধ্যে টিসিবি এভাবে দাম সমন্বয় করে থাকে। কারণ বাজারের তুলনায় পণ্যের মূল্য বেশি ব্যবধান থাকলে অবৈধভাবে বিক্রির সম্ভাবনা থাকে। সে কারণে নতুন করেভোজ্যতেল ও চিনির দাম পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গত ১৭ মার্চ থেকে বিশেষ পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে টিসিবি। প্রথম ধাপে সারাদেশে ৪০০ ট্রাকে তেল, চিনি, মসুর ডাল ও পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় ধাপে ১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত আরও ১০০ ট্রাক বাড়িয়ে ৫০০ ট্রাকে করে সারাদেশে পণ্য বিক্রি করা হবে। মসুর ডাল, চিনি, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজের সঙ্গে ছোলা ও খেজুর বিক্রি হবে।
বুধবার টিসিবি এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ চার কেজি চিনি, ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল, ১০০ টাকা দরে ২ থেকে ৫ লিটার সয়াবিন তেল এবং ২০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।
এছাড়া ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৩ কেজি ছোলা ও কেজি ৮০ টাকা দরে এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
ঢাকায় যেসব স্থানে টিসিবির পণ্য পাওয়া যাবে
ঢাকা শহরে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রয়ের সম্ভাব্য স্থানসমূহ- কামরাঙ্গীরচর লোহার পুল, প্রেসক্লাবের সামনে, বাবুবাজার, শ্যামলী ওভারব্রিজ, জিগাতলা, মৌচাক দেশ টিভির সামনে, সিপাইবাগ বাজার, ২৩০ গুদামের পাশে, জুরাইন বাজার, সেগুনবাগিচা বাজার, উত্তরা বাংলাদেশ মেডিকেল, কালশি মোড়, বনশ্রী বাজার, ফার্মগেট খামার বাড়ি, কারওয়ান বাজার, মিরপুর-১ কাঁচাবাজার, ৩৪৪ গুদামের সামনে, ডিসি অফিস, শিকদার মেডিকেল, মিরপুর কমার্স কলেজ, আজিমপুর ছাপরা মসজিদ, মহাখালী সাত তলা বস্তি, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, দয়াগঞ্জ স্টাফ কোয়ার্টার, নিউ মার্কেট, আজমপুর বাজার, আশকোনা হাজী ক্যাম্প, সোয়ারীঘাট, পলাশনগর জামে মসজিদ, বাসাবো বাজার, উত্তরা ১২ খালপাড়, কচুক্ষেত রজনীগন্ধা মার্কেট, শনির আখড়া, রায়ের বাজার, বছিলা র্যাব অফিস, মধ্য বাড্ডা, মেরুল বাড্ডা, গুলশান-১ কাঁচাবাজার, ইপিজেড, শাহবাগ বারডেমের পাশে, সাতারকুল বাজার, বাইপাইল, আশুলিয়া, মিরপুর-৭ মিল্কভিটা ও খিলক্ষেত বটতলা।
গোড়ান বাজার, টঙ্গী কাঁচাবাজার, ৬০ ফিট রেডিও, লালবাগ থানা, সিপাইবাগ বাজার, মিরপুর-১০ গোলচক্কর, ধানমন্ডি সরকারি কলোনি, নন্দীপাড়া কৃষি ব্যাংক, মতিঝিল বক চত্বর, খিলগাঁও রেলগেট, কামরাঙ্গীরচর রনি মার্কেট, পিএসসির পাশে কলোনি, রামপুরা বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, গেন্ডিয়া থানা, বেগুনবাড়ি, খিলগাঁও রেলগেট, গাবতলী বাস স্টপ ও যমুনা ফিউচার পার্ক।
এছাড়াও টিসিবির পণ্য পাওয়া যাবে মিরপুর দিগন্ত সমবায় সমিতি, মানিকদি বাজার, ভাষানটেক বাজার শাহজাহানপুর বাজার, যাত্রাবাড়ী বাস স্টপ, হাজারীবাগ থানা, বাংলাদেশ ব্যাংক, শান্তিনগর বাজার, ইসিবি চত্বর, কল্যাণপুর নতুন বাজার, যাত্রাবাড়ী বাজার, হাতিরপুল বাজার, সচিবালয় ৩নং গেট, ২৩০ গুদামের সামনে, গুলশান ভাটারা, খিলগাঁও রেলগেট, সচিবালয় ৩নং গেট, বনানী কড়াইল বস্তি, রাজলক্ষ্মী/জসিমউদ্দিন, কামার পাড়া বাস স্টপ, মিরপুর-১০ গোল চত্বর, মুগদা মেডিকেল, সারুলিয়া বাজার, আনন্দ সিনেমা হলের সামনে, ভিকারুননিসা ১০নং গেটের সামনে, মতিঝিল সরকারি কলোনি, শ্যামলী আশা টাওয়ার, উত্তরা বাংলাদেশ মেডিকেল, ইত্তেফাক মোড়ে। পাশাপাশি সব জেলা সদর ও উপজেলাসহ সারাদেশব্যাপী ডিলারের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় করা হবে।